সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রতিনিধির নাম হাইকোর্টে

Slider বাংলার আদালত

021011padma_bridge

 

 

 

 

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে যে তদন্ত কমিশনের সদস্য হিসেবে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুজ্জামানের নাম প্রস্তাব করেছে সেতু মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠানো চিঠির একটি কপি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার দাখিল করা হয়েছে।

ওই আদালতের সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা এ চিঠি দাখিল করেন। এ চিঠি পাওয়ার পর আদালত আগামী ২৬ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

সেতু মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাহমুদ ইবনে কাসেম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে কোনো তদন্ত কমিশন গঠিত হলে উক্ত কমিশনে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামানকে নির্দেশক্রমে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।

হাইকোর্ট গত ২০ মার্চ পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি এবং দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন বা কমিটি করে অগ্রগতি প্রতিবেদন ৯ মে’এর মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তা না করে পরবর্তীতে আরো কয়েকদফা সময় নেওয়া হয়। এ অবস্থায় গত ২ আগষ্ট হাইকোর্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ৩১ আগষ্টের মধ্যে কমিশন গঠন করতে সরকার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে। এরই ধারাবাহিকতায় সেতু মন্ত্রণালয় চিঠি দিলো হাইকোর্টে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ড. ইউনুসের বিচার দাবি : আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেন।

আদেশে পদ্মা সেতু নির্মাণের চুক্তি ও এ বিষয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন বা কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং দোষীদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। মন্ত্রী পরিষদ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও সেতু সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *