রাজশাহীর তানোর উপজেলায় প্রেমিকের বাড়িতে টানা ১৪ ঘণ্টা ধরে অনশনের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন শাবানা খাতুন। বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার হরিপুর গ্রামে প্রেমিক মাসুদ রানার সঙ্গে আড়াই লাখ টাকা দেনমোহরে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
জানা যায়, প্রেমিক মাসুদ হরিপুর গ্রামের আবদুল আজিজ মাস্টারের ছেলে। রাজশাহী কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ কামারগাঁ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। আর শাবানা খাতুন একই এলাকার শাফিউল ইসলামের মেয়ে। তিনি তানোর মহিলা কলেজের (চাপড়া) ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর ধরে মাসুদ রানার সঙ্গে শাবানার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাসুদ তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করেন। কিন্তু এখন তাকে বাদ দিয়ে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ খবর জানতে পেরে বুধবার সকালে মাসুদের বাড়িতে গিয়ে শাবানা বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। কিন্তু মাসুদের পরিবার তাকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন করছিলেন শাবানা। মাসুদের সঙ্গে বিয়ে না হলে শাবানা আত্মহত্যার হুমকি দেন। এ সুযোগে বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যান মাসুদ। তবে অনড় শাবানা বিয়ের দাবিতে মাসুদের বাড়ির উঠানে অনশন অব্যাহত রাখেন। এ নিয়ে বুধবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার লোকজন সালিসে বসেন। সেখানে শাবানার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ককে প্রথমে অস্বীকার এবং তাকে বিয়ে করা সম্ভব নয় বলেও সাফ জানিয়ে দেন মাসুদ। এসময় শাবানাও মাসুদের সঙ্গে বিয়ে না হলে আত্মহত্যার ঘোষণা দেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মাসুদ নিজের ভুল স্বীকার করে বিয়ে করতে রাজি হন। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে ওই রাতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
তানোর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম বলেন, লোকমুখে শুনেছি তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তবে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।