ফেসবুকে ছবি পোস্ট নিয়ে ভাঙচুর, আজ শুক্রবার ১৪৪ ধারা জারি ফরিদপুরে

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

102a4de9483336745f4913253682f0b3-faridpur

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সদরপুরে ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার অভিযোগে দোকান ও বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে জড়িত সন্দেহে বিষ্ণু মালো (২২) নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে সদরপুর উপজেলার হাটকৃষ্ণপুর বাজার ও বাজারসংলগ্ন মালোপাড়ায়। পরে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি হাটকৃষ্ণপুর বাজারসহ আশপাশের এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

এলাকাবাসী, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে বিষ্ণু কুমার মালো নামের অ্যাকাউন্ট থেকে গত বুধবার রাতে একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ওই ছবি ধর্মীয় অবমাননাকর বলে অভিযোগ উঠে। ওই বাজারে বিষ্ণু মালো নামের এক তরুণ কম্পিউটার সার্ভিসিং ও মুঠোফোনে গান ভর্তি করার ব্যবসা করেন। তিনি ওই এলাকার ক্ষিরোদ চন্দ্র মালোর ছেলে। ফেসবুকের ওই ছবির জন্য এলাকাবাসী বিষ্ণুকে দায়ী করে। এর জের ধরে প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার বেলা ১০টার দিকে হাটকৃষ্ণপুর বাজারে বিষ্ণুর দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে হামলাকারীরা ওই বাজারসংলগ্ন মালোপাড়ায় গিয়ে বিষ্ণুর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেলা দেড়টার দিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিষ্ণুকে আটক করে সদরপুর থানায় নিয়ে যায়।

বিষ্ণু মালো জানান, বিষ্ণু কুমার মালো নামে যে ফেসবুক আইডি আছে, সেটি তাঁর নয়। তাঁর নিজের আইডির নাম রাহুলবিষ্ণু এবং এটি তিনি তাঁর নিজের মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে খুলেছেন।

সদরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুরবী গোলদার ও ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজী রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ইউএনও পুরবী গোলদার জানান, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাটকৃষ্ণপুর বাজার ও বাজারসংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা থেকে শুরু হয়ে ১৪৪ ধারা শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিষ্ণুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *