যুবলীগের ওই নেতার নাম বেদার আলী ফরাজী (৪৫)। তিনি নাজিরপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
পুলিশ ও গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী পাশের এক জেলার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে সেখানে থাকেন। আর তাঁর স্ত্রী একাই থাকতেন বাড়িতে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বেদার আলী ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় গৃহবধূর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তখন বেদার আলী লুঙ্গি, মুঠোফোনসেট, টর্চ লাইট ও জুতা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়ি এসে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর গতকাল ওই গৃহবধূ মামলা করেন। পরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বেদার আলীকে।
বেদার আলীর রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেন নাজিরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী। তিনি বলেন, ‘বেদার আলী ফরাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর বুধবার রাতে আসামি বেদার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’