কর্মক্ষেত্রে ‘না’–কে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ

Slider বিচিত্র

8b92b25581b5d70e80739b5db0df274f-59e3b2dff3afe

‘না’ শব্দটা জীবনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কর্মক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিকূলতা তৈরি হয়। সহকর্মীর মন রক্ষা করতে অনেক সময় নিজের কাজ নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ‘না’ বলতে পারাটা জরুরি। অন্যদিকে কোনো কারণে হেয় হলে সেটা মস্তিষ্কে ‘না’ নেওয়া ও খারাপ ব্যবহারগুলোকে গুরুত্ব ‘না’ দেওয়া ভালো। তাহলে অনেকাংশেই মানসিক চাপ কমে যায় ও প্রশান্তি মেলে।

কথাগুলো বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেহতাব খান। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার দুপুরে পাবনার মেডিকেল কলেজের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ আয়োজিত ‘কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা’বিষয়ক কর্মশালা সঞ্চালনকালে তিনি এ কথা বলেন।

পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. রিয়াজুল হক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের প্রভাষক রাউফুন নাহার, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট সাবরিন মাহমুদ ও পাবনা মেডিকেল কলেজের সার্জারি কনসালট্যান্ট মো. সিরাজুল ইসলাম। কর্মশালায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। মেহতাব খানম বলেন, মানসিক চাপ কমাতে আমরা অনেক সময় ধূমপান করা, মাদক নেওয়া, চুপ থাকা, দীর্ঘক্ষণ টিভি দেখা, দীর্ঘক্ষণ ঘুমানো, বন্ধুবান্ধব ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকাসহ অনেক উপায় বেছে নিই। এতে কাজের সময় নষ্ট হয়ে মানসিক চাপ আরও বাড়ে। ফলে নেতিবাচক কিছু না করে ইতিবাচক ভাবনা দিয়ে সবকিছুর সমাধান উত্তম।

পারিবারিক বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে কাজের যেমন পরিকল্পনা থাকে, তেমন বাড়িতে গিয়ে কী কী করতে হবে, তেমন পরিকল্পনাও আমাদের থাকা উচিত। এতে পারিবারিক বন্ধনটা গোছালো থাকে। শিশুদের সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, শিশুরা যেন কোনোভাবে মনে কষ্ট না পায়, সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে। তাদের সব সময় গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে শিশুরাও পরিবারের বড়দের গুরুত্ব দেওয়া শিখবে।

কর্মশালায় প্রভাষক রাউফুন নাহার মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় মস্তিষ্কে ও শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। এ ক্ষেত্রে দিনে অন্তত ছয় থেকে আটবার চার সেকেন্ড ধরে নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করে ৭ সেকেন্ড ভেতরে আটকে রাখা ও বন্ধ শ্বাস ৮ সেকেন্ড ধরে ছেড়ে দিতে হবে। এতে শরীর ও মন অনেকটাই চাঙা হয়ে উঠবে। কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি বাড়বে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মো. রিয়াজুল হক বলেন, মানসিকভাবে নিজেকে সুস্থ রাখাটা জরুরি। তাহলে শারীরও সুস্থ থাকে। আর এই মানসিক সুস্থতা অনেকাংশে নিজের ওপর নির্ভর করে। তাই আমাদের উচিত ইতিবাচক ভাবনা দিয়ে সবকিছুর সমাধান করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *