বুধবার সারা দেশে বিক্ষোভ করবে বিএনপি

Slider রাজনীতি

3a0b3cec2eb67440f9d44a1f5ba909c1-59999f1b03736

 

 

 

 

বিএনপি আগামী বুধবার ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বাসে পেট্রলবোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির ৭৮ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কুমিল্লার একটি আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এ কর্মসূচি।

আজ সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জরুরি’ এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

রিজভী বলেন, ‘কুমিল্লার জেলা জজ আদালতে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামী বুধবার ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসে শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে বিএনপির সঙ্গে আর কোনো সংলাপ বা সমঝোতা হবে না। শেখ হাসিনার ওই বক্তব্যের মধ্যেই চরম আক্রোশের একটি পূর্বাভাস ছিল। এখন তিনি দেশে ফিরে বিরোধী দলশূন্য বাংলাদেশ বানানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ওপর সরকারের যে সন্ত্রাসী আক্রমণ, তার প্রথম নমুনা আজ বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে প্রত্যক্ষ করলাম। আদালতকে কবজায় নেওয়ার পর এখন গায়ের জোরে সর্বোচ্চ আদালতকে ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণে নিতে সরকার সব ধরনের নীলনকশা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ভোটারবিহীন নির্বাচন উল্লেখ করে রিজভী অভিযোগ করেন, গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে একক নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার তা নিশ্চিহ্ন করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। সেই লক্ষ্য পূরণে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বাধীন স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত সর্বোচ্চ আদালতকে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কবজায় নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। তিনি বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি পাশবিক কায়দায় সর্বোচ্চ আদালত ধ্বংসের ধারাবাহিকতা লক্ষ করছি। কয়েক দিন ধরে সর্বোচ্চ আদালতের ওপর সরকারের বেপরোয়া আস্ফালনে দেশবাসী বিমূঢ় ও বিস্ময়ে হতবাক। এখন সেই আস্ফালনে উৎসাহিত হয়ে সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির ওপর আক্রমণ শুরু করেছে। যার প্রথম বহিঃপ্রকাশ প্রকাশ হলো বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।’

খালেদা জিয়ার চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে এবং তিনি এখনো লন্ডনে চিকিৎসাধীন জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শেষে তিনি যথাসময়ে দেশে ফিরবেন। তাঁর ফেরার সময়ও প্রায় আসন্ন। আর ঠিক এই মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিহিংসামূলক। এর মাধ্যমে দেশে সরকারের সৃষ্ট বিভেদ-বিভাজনের রাজনীতিকে আরও তীব্র করা হলো। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী। তিনি অবিলম্বে তাঁর দলের চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবি করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন কবে দেশে ফিরবেন—সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এখনো আমরা তারিখ জানি না। তিনি (খালেদা জিয়া) আসার আগে নিশ্চয় আমাদের জানাবেন, তখন আপনাদের জানাব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *