খাদ্য সংকটে পড়তে পারে শরণার্থীরা—সেভ দ্য চিলড্রেন

Slider সারাবিশ্ব
খাদ্য সংকটে পড়তে পারে শরণার্থীরা—সেভ দ্য চিলড্রেন

মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা খাবার, আশ্রয় ও পানীয় জলের সংকটে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।

সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ার্স গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, শরণার্থীদের অনেকে ক্ষুধার্ত, অবসন্ন অবস্থায় আসছে। এত বেশিসংখ্যক মানুষ আসছে যে, তাদের অন্ন, আশ্রয়, পানীয় জল আর মৌলিক পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে না। শরণার্থী পরিবারগুলো যদি তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে না পারে, তাহলে ভোগান্তি আরো বাড়বে ও প্রাণহানি ঘটবে।

মার্ক পিয়ার্স বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে গতি সঞ্চার করা প্রয়োজন। কেবল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তহবিল বৃদ্ধি করলেই কাজটি সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে আসা শরণার্থীদের অর্ধেকের বেশি শিশু। শরণার্থীর ঢল অব্যাহত থাকলে বছরের শেষ নাগাদ সংখ্যাটি আরো বাড়বে। জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর হিসাবমতে, প্রায় ছয় লাখ শিশু বাংলাদেশে আসতে পারে।

তিনি আরো বলেন, কিছু শিশু সহিংসতা ও হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী হয়েছে। কেউ কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অনেকে নিজেদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের দৃশ্য দেখেছে, নিজের মা-বাবাকে হত্যার দৃশ্য দেখেছে।

মার্ক পিয়ার্স বলেন, বিশেষভাবে ঝুঁকিগ্রস্ত এসব শিশুকে নিয়ে সত্যিকার উদ্বেগ রয়েছে। বঞ্চনা ও নিগ্রহের বাড়তি ঝুঁকিতে রয়েছে এ শিশুরা। শিশু পাচারের মতো ঝুঁকিও রয়েছে।

গত ১৫ দিনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চার শতাধিক শিশুর জন্ম হয়েছে। নবজাতক এ শিশুদের বিষয়ে সাহায্যকর্মীরা বিশেষ উত্কণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। সাহায্য সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হাজার হাজার রোহিঙ্গা আধাপেটা খেয়ে দিনাতিপাত করছে এবং এর ফলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত সংকট দেখা দিতে পারে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মুখপাত্র ক্রিস লম বলেছেন, কাদামাখা শিবিরগুলোয় শরণার্থীরা খুব করুণভাবে বাস করছে। তাদের কাছে জরুরি সেবা পৌঁছাতে হলেও কিছু জায়গা প্রয়োজন। শুধু নির্দিষ্ট কাঠামো থাকলেই পানি ও পরিচ্ছন্নতার মতো জরুরি সেবা পৌঁছানো সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *