শ্রীপুরে পোল্ট্রি বর্জ্যে পরিবেশ দূষণ, ছড়িয়ে পড়ছে রোগ-ব্যাধি

Slider গ্রাম বাংলা

পোল্ট্রি বর্জ্য ২

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
আমান পোল্ট্রি ফার্ম ও হ্যাচারির বর্জ্যে পরিবেশ দূষিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে রোগ-ব্যাধি।
পোল্ট্রি ফার্মের মুরগির স্তুপ স্তুপ বিষ্ঠার (মল), মরা মুরগী, পঁচা ডিমের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে থাকা আমান পোল্ট্রি ও হ্যাচারিতে মুরগি ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করা হচ্ছে। এ ফার্ম থেকে প্রতিদিন ডিমের খোসা, মরা মুরগীসহ বিপুল পরিমানের বর্জ্য বের করা হয়। এসব ‘বর্জ্য ফার্মের নির্দিষ্ট’ স্থানে রাখার ব্যবস্থা না থাকায় একই এলাকার ক্ষমতাশীল এক নেতা মোর্শেদ মুনঞ্জুরুল তাঁর জমিতে রাতের আধাঁরে খোলা জায়গায় যত্রতত্র ফেলে রাখছে। উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখার ফলে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় পরিবেশ দূষণ ঘটছে। পচাঁ ডিম ও বর্জ্যরে গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে স্থানীয় অনেক নারী-পুরুষ ও শিশু।
নয়াপাড়া এলাকার গৃহবধূ আসমা আক্তার বলেন, ‘বর্জ্যরে গন্ধে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। এতে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বমি করতে করতে অসুস্থ হচ্ছে।’
একই এলাকার সবদুল ইসলাম বলেন, মুনঞ্জুরুল ‘বর্জ্য ও পঁচা ডিম’ ফার্ম থেকে এনে নিজের জায়গা বলে দাবি কার নয়াপাড়া সরকারি খাস জমিতে ফেলার জন্য বিপুল পরিমাণে অর্থ আদায় করে। তাকে বর্জ্য ফেলা বন্ধে করতে বললেও কোন কথা কানে নেয় না। এ বিষয়ে আমরা এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাঁচতে লিখিত অভিযোগ করেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.মিজানুর রহমান বলেন, বর্জ্য ও পচাঁ ডিমের গন্ধে এলাকার বাতাস দূষিত হয়ে পড়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। খেতে বসলে দুর্গন্ধে খাবার গলা দিয়ে নামে না। বেড়েছে মশা-মাছির উৎপাত। মাছি বিস্তার ঘটাচ্ছে জীবাণুর। শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার ভয়ে আছে মানুষ।’
অভিযুক্ত মোর্শেদ মুনঞ্জুরুল বলেন, আমার জমিতে ‘বর্জ্য ও পচাঁ ডিম’ ফেলবো এখানে কার কি? কে অসুস্থ হলো না হলো আমার দেখার বিষয় না।
গাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো.নরুল ইসলাম জানান বলেন, ‘আমি কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার মুরগির বর্জ্য খোলা জায়গায় ফেলতে নিষেধ করেছি। কিন্তু আমার কথা তারা কানে নেয়নি।
ফার্মের সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক (এজিএম) মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুনঞ্জুরুল আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বর্জ্য ফেলে। এখন কোথায় ফেলে সেটা আমার জানা নেই। আমাদের নিজেস্ব জায়গায় বর্জ্য ফেলার গর্ত নতুন তেরি হচ্ছে আর তাকে বর্জ্য ফেলতে নাও দিতে পারি।
শ্রীপুর ইউএনও’র দায়িত্বে থাকা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো.মাসুম রেজা বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফার্মের কর্তৃপক্ষ ও অভিযুক্ত মুনঞ্জুরুলকে নোটিশের মাধ্যমে ডাকা হয়েছে। পরিবেশ দূষিত করার সাথে জড়িত থাকলে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্তা নেয়া হবে।
#শ্রীপুর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *