মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধরা পড়বে স্তন ক্যান্সার

বিচিত্র
image_155723.o-sleep-breast-cancer-survival-facebookনতুন প্রজন্মের মুঠোফোনই জানিয়ে দেবে কোনও নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত কি না। শুধু স্তন ক্যান্সারই কেন, যে কোনও রোগ নির্ণয় সক্ষম হবে মুঠোফোনের ক্যামেরা।
মার্কিন কম্পানি জেরক্স বর্তমানে কনট্যাক্টলেস সেন্সিংয়ের ওপর গবেষণা করছে। এই প্রযুক্তির পরীক্ষার জন্য মার্কিন সংস্থাটি হাত মিলিয়েছে মণিপাল হাসপাতাল এবং বেঙ্গালুরুর সেন্ট জন হাসপাতালের সঙ্গে। প্রথম পর্যায় সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে খবর।
এই গবেষণা পুরোপুরি ভাবে সফল হলে, সেলফোনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের হালহকিকত জানা যাবে। সে ক্ষেত্রে মোবাইলের ক্যামেরাই বাতলে দেবে যে, ব্যক্তি কোনও রোগ আক্রান্ত কি না।
জেরক্সের চিফ টেকনলজি অফিসার সোফি ব্যান্ডব্রোক জানান, ‘কনট্যাক্টলেস সেন্সিং প্রোজেক্টের মাধ্যমে আমরা রেগুলার ক্যামেরা ব্যবহার করে রোগীর ওপর নজর রাখতে পারব এবং তাঁদের শরীরে কোনও রোগ দানা বাঁধলে, তারও সন্ধান পাব। এটি ইন্ডিয়া আর অ্যান্ড ডি সেন্টার এবং নিউ ইয়র্কের পিআরসি সেন্টরের জয়েন্ট প্রোজেক্ট।’
ইতোমধ্যে মণিপাল হাসপাতালের নিয়োনেটাল ইউনিটে ক্যামরা লাগিয়েছে জেরক্স। সদ্যোজাত শিশুর হার্টরেট, শারীরিক তাপমাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংকেত পরিমাপের জন্য চিকিত্‍‌সকের সঙ্গে কাজ করছে। এই প্রযুক্তিতে বাচ্চাদের ত্বকে সেন্সর লাগাতে হয় না।
সোফি জানান, বিমানবন্দরে যাত্রীদের রোগের খোঁজ নিতে এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো যেতে পারে। আবার নিজের স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখার জন্য সাধারণ লোকেরাও এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে পারেন।
রোগ নির্ণয়ে কী ভাবে কাজ করবে ফোনের সাধারণ ক্যামরা? সোফি জানিয়েছেন, সাধারণ ক্যামেরাকে অ্যানালিটিক্স সফ্টওয়্যারের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এটি ইমেজ এবং ডেটার সাহায্যে খোঁজ নেবে যে, কোনও মহিলার স্তন ক্যান্সার রয়েছে কি না। আবার কোনও বিশেষ সমস্যার জন্য চিকিত্‍‌সকদের পরামর্শ জরুরি কি না, তা-ও জানা যাবে এই ক্যামেরার মাধ্যমে।
প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় সাফল্যের মুখ দেখেছে এই প্রযুক্তি। এর সাহায্যে শারীরিক তাপমাত্রা, রেসপিরেশন রেট এবং হার্ট রেট ইত্যাদি প্যারামিটারগুলিকে সাফল্যের সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সোফি জানিয়েছেন, ‘এখন আমরা রক্তচাপ এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ইত্যাদি বিষয় গবেষণা করছি। অ্যাস্থমা নির্ধারণে এবং ব্রেস্ট ক্যান্সর স্ক্রিনিংয়েও কাজ চলছে। আমরা সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিন্ড্রোমেও কাজ করছি।’
চলতি মাসের শুরুতে হেলথস্পট নামে একটি স্টার্টআপে বিনিয়োগ করে জেরক্স। এটি টেলিমেডিসিন কিয়স্ক তৈরি করে। স্টোর, কোম্পানি এবং ফার্মাসিতে এই কিয়স্ক রাখা যায়। এই কিয়স্কে সেন্সরের সঙ্গে ডায়াগ্নোস্টিক ইকউইপমেন্টও থাকে। সোফি জানিয়েছেন, ‘ভবিষ্যতে ফিজিকল সেন্সরের পরিবর্তে কেবলমাত্র একটি ক্যামেরায় ডিসপ্লে নেওয়া যাবে, যা যে কোনও ধরনের ডায়াগ্নোস্টিকে সাহায্য করবে।’
জেরক্সের তরফে ভারতে হেলথকেয়ার রিসার্চের নেতৃত্বে রয়েছেন চিকিত্‍‌সক সতীশ প্রসাদ রথ। চিকিত্‍‌সক রথ এর আগে উইপ্রোয়ে চিফ মেডিক্যাল ইনোভেশন অফিসার ছিলেন। এমনকি তিনি উইপ্রোর স্মার্ট হেলথকেয়ার ডিভাইজ ডেভেলপ করতেও সাহায্য করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *