সাত খুন মামলার তদন্তে অনেক দূর এগিয়েছে পুলিশ

বাংলার আদালত
image_155716.narayon gonj-1আলোচিত সাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তে অনেক দূর এগিয়েছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রতিবেদন জমা দেয়ার মত যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পুলিশের কাছে আছে তবুও যেহেতু মামলার একজন গুরুত্বপূর্ণ আসামি দেশের বাইরে রয়েছে তাই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার অপেক্ষা করা হচ্ছে। যদি তাকে নাও আনা যায় তবুও এ মামলার প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন জেলা পুলিশ সুপার। অপরদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেনের দাবি সরকারই নূর হোসেনকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। নূর হোসেনকে সরকারই দেশে ফিরিয়ে আনবে না। সেই সঙ্গে র‌্যাব সদস্যদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আজ বুধবার দেয়া প্রতিক্রিয়ায় জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন এবং বাদী পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এসব কথা বলেন। জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানান, মামলার তদন্ত কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। মামলার গুরুত্বপূর্ণ একজন আসামি (নূর হোসেন) দেশের বাইরে রয়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার অপেক্ষায় আছি। তাকে দেশে এনে  জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হতো। যদি তাকে নাও আনা যায় তাহলেও মামলার প্রতিবেদন দাখিল করার মত যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।
সরকারই নূর হোসেনকে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন অভিযোগ করে বাদী পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়া হোসেন খান বলেন, এখনও নূর হোসেনের ব্যাপারে দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। নূর হোসেন এখনও দলীয় পদে আছেন। এছাড়াও উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল মোট ২৭ জন র‌্যাব সদস্য এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পুলিশ এখন পর্যন্ত মাত্র ১১ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বাকি ১৬ জন কোথায়?
অন্যদিকে মামলার এজাহারে যে ৬ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কাউকেই পুলিশ এখন গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলেই বেরিয়ে আসবে র‌্যাব ছাড়া কারা কারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মণ্ডল জানান, তদন্ত কমিটি র‌্যাব সদস্যের ২৭ জনের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু মামলাটি তদন্তাধীন। আমাদের সব কিছু শতভাগ নিশ্চিত হয়ে পদক্ষেপ নিতে হয়। এখন পর্যন্ত ১১ জন র‌্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *