নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পয়েন্ট ও কক্সবাজারেরর টেকনাফের নাফ নদীর দুইটি পয়েন্ট থেকে মোট ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে নয়জনই রোহিঙ্গা।
এরমধ্যে আট জনের মৃত্যু হয়েছে মিয়ানমার ছেড়ে আশ্রয়ের খোঁজে নাফ নদী পাড়ি দেয়ার সময়। অন্যজন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলবোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন।বুধবার ৮টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া নাফ নদীতে দুই রোহিঙ্গা শিশুর লাশ ভাসতে দেখে। পরে মরদেহগুলো স্থানীয়রা উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাবরাং এর স্থানীয় ইউপি মেম্বার ফজলুল হক জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর ভোরে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা থেকে কিছু লোক সাঁতরে তীরে ফিরে আসে। তারা জানান মিয়ানমার থেকে আসার পথে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা শাহপরির দ্বীপের জালিয়াপাড়া থেকে ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ৩ শিশু, ২ জন মহিলা ও ১ জন পুরুষ।
স্থানীয়রা ৮ জন রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক নির্বাহী ।
এর আগে নাইক্ষ্যংছড়ির ৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলার ও ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলার সংলগ্ন মিয়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে দুই জনের মৃত্যু হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, মিয়ানমারের পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে নিহত হওয়া রোহিঙ্গা যুবকের নাম মোক্তার আহমদ। সে মিয়ানমারের ফকিরাবাজার এলাকার আবদুস সালামের পুত্র। অপরজন নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের বদিউল আলমে পুত্র হাশেম উল্লাহ (৩৫)।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা সালমান করিম খাঁন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।