ভারতের পর মিয়ানমারও সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে

Slider গ্রাম বাংলা

 

ভারতের পর মিয়ানমারও সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে

বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার। ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ প্রায় শেষ করেছে। এবার আরেক প্রতিবেশী মিয়ানমারও সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মিয়ানমারের কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি বছর শেষের আগেই বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ শেষ হবে। খবর ইরাবতী নিউজ ও ইকোনমিক টাইমস।

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র উ জ তাই বলেছেন, যেকোনো মূল্যেই হোক, আমরা সীমান্তে বেড়া দেব। এ কাজটি আগামী বছর পর্যন্ত পড়ে থাকবে না। রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির কার্যালয়ের প্রেস কনফারেন্সে উ জ তাই সীমান্তে বেড়া দেয়ার এ পরিকল্পনার কথা জানান।

বুধবার বিকালে মিয়ানমারের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনডিএসসি) এক সভায় বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ তিন খ্য, স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি, ভাইস প্রেসিডেন্ট উ মিন্ত সোয়ে, সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইং, সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ভাইস সিনিয়র জেনারেল সো উইন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুন, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত-বিষয়ক মন্ত্রীসহ পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এ বৈঠকে যোগ দেন।

সভায় অং সান সু চি, ভাইস প্রেসিডেন্ট উ মিন্ত সোয়ে ও সেনাপ্রধান মিন অং লাইং জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, এজন্য দ্রুত বাজেট বরাদ্দ এবং সীমান্তের যেসব জায়গায় বেষ্টনী দুর্বল হয়ে পড়েছে, সেখানে সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।

এর আগে মঙ্গলবার ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের প্রধান কে কে শর্মা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৯৫ শতাংশ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ শেষ হয়েছে। পিটিআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে কে কে শর্মা বলেন, ৯৫ শতাংশ জায়গায় সিঙ্গল রো ফেন্সের কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট কয়েকটি জায়গাতেও বেড়া দেয়ার কাজ চলছে।

দুই দেশের সীমান্তে যে কয়েকটি জায়গায় নদী রয়েছে, সেগুলো ছাড়া সবখানে বেড়া দেয়া হবে জানিয়ে বিএসএফপ্রধান বলেন, সীমান্ত এলাকার স্থানীয় মানুষের চলাচল ও কাজের সুবিধার্থে বেড়ায় নির্দিষ্ট গেট থাকবে। এর ফলে মানুষ সীমান্তের অন্য পাশে যেতে ও ফিরে আসতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *