অস্ট্রেলিয়ায় হাহাকার

Slider খেলা
অস্ট্রেলিয়ায় হাহাকার

অবিশ্বাস্য, এক ম্যাচেই পাল্টে গেল পুরো দৃশ্যপট! জয়-পরাজয়ের মানদণ্ডে বিশ্বমিডিয়া এখন সরগরম বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়াকে ঘিরে। একদিকে উচ্চকিত হচ্ছে জয়ধ্বনি, অন্যদিকে দুয়ো। মাত্র নয় মাসের ব্যবধানে আবারো শিরোনামে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের পর ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন তামিম-সাকিবরা। তাদের অসামান্য কৃতিত্বে রীতিমতো প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো।

অন্যদিকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাছে টেস্ট হেরে তীব্র সমালোচনার মুখে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ছয়বারের মোকাবেলায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে রাখা অসিরা জ্বলে-পুড়ে মরছে হারের যন্ত্রণায়। আর সেটাই যেন ফুটে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়াগুলোর খবরে। পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলংকার পর এবার বাংলাদেশের কাছেও হারলেন স্টিভেন স্মিথরা। ১১ বছর ধরে উপমহাদেশের যে দেশটির বিপক্ষে শতভাগ টেস্ট সাফল্য নিয়ে অহঙ্কার ছিল অসিদের, সেই দর্প চূর্ণ হলো অবশেষে।

ফক্স স্পোর্টসের শিরোনামে যেন ফুটে উঠল সেই হাহাকার— ‘ক্রিকেটের ছোট দলের কাছে জাতীয় দলের প্রথম ঐতিহাসিক হার’। দ্য টেলিগ্রাফের শিরোনাম— ‘হতাশাজনক হারে ক্ষতবিক্ষত অস্ট্রেলিয়া’। সেই হিসাবে দ্য নিউজের শিরোনাম ছিল অনেকটাই সাদামাটা। তারা লিখেছে, ‘ঢাকায় প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল বাংলাদেশ’। একই রকম শিরোনাম ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও সিডনি মর্নিং হেরাল্ডেও। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া লিখেছে, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ী বাংলাদেশ’। আর সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের শিরোনাম করা হয়— ‘প্রথমবারের মতো অসিদের হারিয়ে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা’।

উপমহাদেশে ধারাবাহিক ব্যাটিং বিপর্যয়ের বিষয়টি তুলে ধরে দি অস্ট্রেলিয়ার শিরোনাম— ‘বাংলাদেশের কাছে প্রথম হারে ভেঙে পড়ল অসিরা’। বাংলাদেশের কাছে প্রথম হার নিয়ে তারা লিখেছে, ‘ঐতিহাসিক হারে অস্ট্রেলিয়া এখন কাতর’।

অস্ট্রেলিয়ার পত্রিকা দি এজ শিরোনাম করেছে, ‘প্রথমবারের মতো টাইগাররা অসিদের হারানোয় তৈরি হলো ইতিহাস’।

স্টিভেন স্মিথের মন্তব্য নিয়েও সমালোচনা হয়। ঢাকা টেস্টের আগে ‘বাংলাদেশের ২-০ জয়ের প্রত্যাশাকে অতি আত্মবিশ্বাসী’ বলেন স্মিথ। তার সমালোচনা করে দি এজের প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘এ মন্তব্য কতটা বিবেচনাপ্রসূত, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে। কারণ তিনি এখন প্রথম অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক হয়ে গেলেন, যিনি র্যাংকিংয়ে ৯-এ থাকা দলের কাছে হারলেন।’ ওয়েবসাইট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *