পাহাড়ে ৬ হাজার রোহিঙ্গার ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস

Slider গ্রাম বাংলা
পাহাড়ে ৬ হাজার রোহিঙ্গার ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস
রোহিঙ্গারা মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করলেও অনেকে টেকনাফ-উখিয়ার বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি গড়ে তুলেছে। মিয়ানমারের আরাখান রাজ্যের অধিবাসী রোহিঙ্গারা সেখানকার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী ও নাঠালবাহিনীর সহিংসতার শিকার হয়ে বিগত বেশ কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে।

তাদের বড় একটি অংশ উখিয়ার বালুখালী পাহাড়ে এবং টেকনাফের ল্যাদা ও মুছনী পাহাড়ে প্রতিমুহূর্ত মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কেবল বালুখালীর পাঁচটি পাহাড়েই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে ৬ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। এ যেন এক ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেয়ে আরেক ঝুঁকিতে স্বেচ্ছায় পা রাখার মতো ঘটনা। চলতি বর্ষা মৌসুমে পৃথক তিনটি পাহাড় ধসের ঘটনায় এখানে এক মহিলাসহ চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তাদের মধ্যে মহিলাটির নাম ছেনোয়ারা বেগম (৩৮) বলে জানা যায়।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উখিয়ার বালুখালী ইউনিয়নের বেলে মাটির উচু উচু পাহাড়ে পলিথিনের ছাউনি ও বেড়া দিয়ে রোহিঙ্গারা গড়ে তুলেছে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই। এভাবে এখানকার পাহাড়ে পাহাড়ে অসংখ্য বসতি নির্মাণ করে আশ্রয় নিয়ে ৬ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী। অস্থায়ী এই শিবিরগুলোতে প্রতিমুহূর্ত মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে তারা তাদের স্ত্রী-পুত্র ও অন্যান্য স্বজনসহ বসবাস করছে। এর বাইরে টেকনাফের ল্যাদা ও মুছনী ক্যাম্পের কিছু অংশেও পাহাড়ে রোহিঙ্গাদের ঝুকিপূর্ণ বসবাস করতে দেখা গেছে।

এদিকে স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমে এসব ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সওে যাবার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও কেউ সওে যায়নি। ফলে পৃথক তিনটি ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর আহমদ জানান, বর্ষার শুরুতেই তাদের (পাহাড়ে বসবাসরত রোহিঙ্গা) সর্তক করা হয়েছিল, কিন্তু তারা সরেনি কেউ।

এ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থী নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা কোন মতে পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে থাকি। এখান থেকে অন্য কোথাও সরে যাবার জায়গাও নেই, সামর্থ্যও নেই। তাই ঝুঁকি নিয়েই থাকতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *