৪০০ পুরুষের লিঙ্গচ্ছেদ করেছেন রাম রহিম

Slider সারাবিশ্ব
৪০০ পুরুষের লিঙ্গচ্ছেদ করেছেন রাম রহিম

নারী ধর্ষণ, হত্যাসহ পুরুষদের লিঙ্গচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত গুরমিত রাম রহিমের বিরুদ্ধে। ‘পিতাজি কি মাফি’ অর্থাৎ বাবার ক্ষমা নামে একটি সেশন করাতেন রাম রহিম।

সেই অনুযায়ী একটি গোপন গুহাতে নিয়ে যাওয়া হতো অনুসারীদের। সেখানে অন্তত দুইজনের হত্যার কথা শোনা যায়।
এমএসজি: মেসেঞ্জার অফ গড নামের বিতর্কিত ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে অভিযোগ উঠে ডেরার আশ্রমে প্রায় ৪০০ পুরুষের জোর করে লিঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার এক যুবক জানান, ২০০০ সালে ১৯ বছর বয়সে সেখানে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। পেপসির সঙ্গে তাকে ড্রাগ দেওয়া হয়। দুইদিন ধরে অচেতন হয়ে ছিলেন তিনি। জেগে উঠার পর নিজের পুরুষাঙ্গে ব্যান্ডেজ পরিহিত দেখেন। এরপর বিগত ১৭ বছরে তিনি যেকোনও শারীরিক সম্পর্কে সক্ষম ছিলেন না।এ ধরণের আচরণ আরো শত শত অনুসারীর সঙ্গে হয়েছে। যাদের ওষুধ দিয়ে অচেতন করা হয়েছিলো। জেগে উঠার পর এমন পরিণতি দেখেছেন অনেকেই। তাদের বোঝানো হয়েছে এর মাধ্যমে ইশ্বরের আরও কাছে পৌঁছতে পারবেন তারা।

এছাড়া রাম রহিমের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ উঠেছে আগে। ২০০২ সালের নভেম্বরে রাম রহিমের বিরুদ্ধে ৫৩ বছরের এক সাংবাদিককে হত্যার অভিযোগ উঠে। পুরা সাচ (পুরোই সত্য) নামের একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ওই সাংবাদিক। মামলাটি এখনও সিবিআই’র বিশেষ আদালতে রয়েছে। ২০০৭ সালের মে মাসে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ ওঠে রাম রহিমের বিরুদ্ধে। পাঞ্জাবের গুরু গোবিন্দ সিংকে অনুকরণ করে পোশাক পরিধানের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *