খালিয়াজুরী উপজেলায় যেন অপার সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি

Slider গ্রাম বাংলা
20884874_357240431373574_603897474_n
.
হাফিজুল ইসলাম লস্কর, খালিয়াজুরী (নেত্রকোনা) থেকে ফিরে :: নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলায় যেন অপার সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি, মহান আল্লাহর সৃষ্টির অপরুপ সৃষ্টি সোন্দর্য্যের নিদর্শন। মায়াবী ধনু সাগরের বুকে জেগে উঠা দীপচর বাংলাদেশের প্রাচীনতম বড় দ্বীপ। তারই চারপাশে সাগর’র মধ্যখানে দ্বীপ উপজেলা খালিয়াজুরী।
দ্বীপের চার কূল ঘেসে প্রাকৃতিক সুন্দর্য্যের অপরূপ নিদর্শন, সবুজের সমরোহে ঘেরা সবুজ বেষ্টুনী। মধ্যে পৃথিবীর সপ্তাশ্চার্য্যের অন্যতম নিদর্শন খালিয়াজুরী লেপসিয়া বাজার। এই বাজারের সোন্দর্য অনুভব করা যায় কিন্তু লিখে বোঝানো সম্ভব নয়।
খালিয়াজুরী উপজেলায় মনোমুগ্ধকর স্থানসমুহের মাঝে অন্যতম হল চাকুয়া ইউনিয়ন এবং সেই ইউনিয়ন’র লেপসিয়া বাজার, এছাড়া রয়েছে কমলার দিঘী। যেই দেখার সাথে সাথেই মানসপটে ভেসে ওঠে কমলার দিঘীর জলে ডুবে অন্তধানের কথা, যা ছোট্র বেলায় দাদীর কাছে শুনেছি। খালিয়াজুরী উপজেলার কমলার দীঘি দেখতে প্রতি দিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকৃতিপ্রেমি হাজারো দর্শনার্থী।
কবির ভাষায়, সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে সোন্দর মনের প্রয়োজন। সকলের চোখে সোন্দর্য ধরা দেয়না। এখানে তারাই আসেন যাদের মন, মানসিকতায় থাকে প্রাকৃতিক সবুজ রেষ্টুনীর সমারোহ নদী-নালা, সাগর, মহাসাগরের মুক্ত বাতাস সংস্পর্সের দৌলা। এর অপরুপ সোন্দর্য যেন প্রকৃতিকে কাছে টানে। খালিয়াজুরী সোন্দর্য যেন কবি’র কাব্যে লেখা কবিতা, শিল্পীর রং তুলির ছোয়ায় আকা শ্রেষ্ট চিত্রকর্ম। সপ্নদষ্টার শ্রেষ্ট স্বাপ্নিক ছবি।
বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পর্যটকেরা ঘুরে বেড়ায় পৃথিবীর সোন্দর্য অবলোকনের জন্য। পৃথিবীর সোন্দর্য অবলোকনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচা করে পৃথিবীর সোন্দর্য অবলোকনের ক্ষেত্রে কমযাননা আমাদের দেশের সোন্দর্য প্রিয় বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা।
লক্ষ টাকা খরছ করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গেলেও সেই সবস্থানে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা মিলে খুব কম, সবই কৃত্রিম স্থাপত্যের নিদর্শন। অথচ বাড়ীর পাশেই রয়েছে প্রকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ নিদর্শন খালিয়াজুরীর লেপসিয়া বাজার, কমলার দিঘী। অথচ আমাদের দেশের আনাচে কানাচে রয়েছে প্রকৃতিক সৌন্দর্যের অপার সম্ভার।
খালিয়াজুরীর কমলার দিঘীর পাড়ে দেখা হল এক তরুন ভ্রমন পিপাসু সোন্দর্য প্রেমিকের সাথে। তিনি মীর তোফায়েল আহমেদ, কথা প্রসঙ্গে জানা গেল তিনি এ এলাকারই সন্তান। সোন্দর্যের টানে তিনি অনেক স্থানই ভ্রমন করেছেন, কিন্তু কমলার দিঘি ও লেপসিয়া বাজার সমসময় তাকে মুগ্ধ করে। তাই হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও একটু সময় পেলে ছুটে সোন্দর্যের টানে মুগ্ধতার আবেশে প্রিয় কমলার দিঘি ও লেসপিয়া বাজারে।
সেই তিনি ক্ষোভ প্রকাড করে বলেন, আমাদের দেশ প্রকৃতিক সোন্দর্যের লীলাভূমি অতচ প্রচার প্রচারনার এবং দেশদ্রৌহী কতিপয় হিংসুক মানুষের কারনে আমাদের দেশের প্রকৃতিক সোন্দর্যগুলো ধবংস প্রায়। সেই সাথে পরিচর্যার অভাবে বিলীন হচ্ছে প্রকৃতিক ও ইতিহাসিক নিদর্শনসমুহ।
সেই সাথে বঙ্গবন্দুর আদর্শ সৈনিক ছাত্রলীগ নেতা মীর তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন আমি আপনার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও পর্যটন  মন্ত্রনালয়কে জ্ঞাতার্থে বলছি, খালিজুরীসহ আমাদের প্রকৃতিক সোন্দর্যের তীর্থস্থান বঙ্গমাতার অপার প্রকৃতিক সোন্দর্যকে পরিচর্যা ও প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে প্রিয় জন্মধাত্রী বাংলাদেশকে উপস্থাপন করুন। সেই সাথে পর্যটন আকর্ষনে এই খাতে বরাদ্ধ বৃদ্ধিকরে এবং এই খাতে বিনিয়োগে ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করুন।
উল্লেখ্য, মীর তোফায়েল আহমেদ, খালিয়াজুরী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং বর্তমানে খালিয়াজুরী উপজেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব্য রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *