বাকৃবিতে বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংগ্রহ ও সংরক্ষণ শুরু

কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি
image_154892.bau mymensingh pic-1বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৭৯টি উদ্ভিদ প্রজাতি ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আরও ২৫টির বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ আমাদের পরিবেশ থেকে বিলুপ্তির পথে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ঔষধি, ফলদ, বনজ এবং সৌন্দর্যবর্ধক উদ্ভিদ। অনিয়মিত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে প্রতিনিয়ত আমাদের পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও পরিবেশ রক্ষাকারী বিভিন্ন উদ্ভিদ। পরিকল্পিত সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই মূলত আমরা হারাচ্ছি ওই সব গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের পরিবেশ।
আজ সোমবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ‌’বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও দেশের বাইরের বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতি সংগ্রহ, বৈশিষ্ট্য চিহ্নিতকরণ ও সংরক্ষণ’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ‌এসব কথা বলেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। প্রকল্পটির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বোটানিক্যাল গার্ডেনে বিলুপ্ত ও সংকটাপন্ন উদ্ভিদকে সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সম্প্রারণের ব্যবস্থা করা হবে।
জানা যায়, বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের (হেকেপ) আওতায় আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাকক্ষে কর্মশালার মাধ্যমে ওই উপপ্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রশিদ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিন বছর মেয়াদি উপপ্রকল্পের মাধ্যমে বিলুপ্ত ও বিপদাপন্ন উদ্ভিদ প্রজাতিগুলো সংগ্রহ, বৈশিষ্ট্য চিহ্নিতকরণ করার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এসব  উদ্ভিদ হারিয়ে না যায় সেজন্য কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নার্সারির মাধ্যমে সম্প্রসারণ করা হবে। প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে গবেষকদলের অন্যান্য গবেষকরা হলেন অধ্যাপক ড. আশরাফুজ্জান, অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন এবং অধ্যাপক ড. আ খ ম গোলাম সারওয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *