নারী কাউন্সিলর ও তাঁর মা গ্রেপ্তার

Slider নারী ও শিশু

fd2d95753b227133a64408486a985a2a-597e02b2ac2bdবগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই ছাত্রী ও তাঁর মাকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ও তাঁর (কাউন্সিলর) মা। এ দুজন ঘটনার মূল আসামি তুফান সরকারের স্ত্রীর বড় বোন ও শাশুড়ি। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক ছিলেন। তবে এখনো ধরা পড়েননি তুফানের স্ত্রী আশা সরকার।

গ্রেপ্তার হওয়া নারী কাউন্সিলর হলেন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মার্জিয়া আক্তার ও তাঁর মা রুমি বেগম।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া ডিবি পুলিশের একটি দল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার ক্যাডার দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বগুড়ার এই প্রভাবশালী নেতা শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হননি, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দলীয় ক্যাডার ও এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন। শুক্রবার বিকেলে তাঁরা কিশোরী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন।

এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, তাঁর স্ত্রী আশা সরকার, আশা সরকারের বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই তুফান সরকার ও তাঁর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। আর অসুস্থ মা-মেয়েকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ তুফান ও তাঁর দুই সহযোগীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আরেক সহযোগী প্রাথমিকভাবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দেওয়ায় তাঁর রিমান্ড চাওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন:
ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে ছাত্রী ধর্ষণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *