চূড়ান্ত লাইসেন্স হস্তান্তর আজ

Slider জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি

base_1501268955-1

একীভূত প্রতিষ্ঠান হিসেবে রবি ও এয়ারটেল গত বছরের নভেম্বরে কার্যক্রম শুরু করলেও ভ্যাট প্রদান-সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে ছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থার চূড়ান্ত মার্জার লাইসেন্স প্রদান। সম্প্রতি জটিলতা শেষে প্রতিষ্ঠানটিকে এ লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির কাছে এ লাইসেন্স হস্তান্তর করা হবে।

রবি ও এয়ারটেলের একীভূতকরণে তরঙ্গ সমন্বয় ও একীভূতকরণ ফি নির্ধারণ করা হয় ৪২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে একীভূত কার্যক্রম বাবদ ফি ১০০ কোটি টাকা ও তরঙ্গ সমন্বয় বাবদ ৩০৭ কোটি টাকা। বাকি অর্থ ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ ধরা হয়। গত বছরের ২০ নভেম্বর ৩১৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটি। বাকি অর্থ দুই কিস্তিতে পরিশোধের কথা থাকলেও তা দেয়নি রবি। পাওনা অর্থ প্রদানে একাধিকবার প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এতেও অর্থ প্রদান না করায় কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়। সম্প্রতি অর্থ পরিশোধের শর্তে লাইসেন্স প্রদানের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করে রবি আজিয়াটা। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটিকে একীভূতকরণের লাইসেন্স দিতে সম্মত হয় বিটিআরসি। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে রবি আজিয়াটার কাছে একীভূতকরণের লাইসেন্স হস্তান্তর করবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

বাংলাদেশে একীভূতকরণের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আলোচনা শুরু করে দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী দুই সেলফোন অপারেটর রবি ও এয়ারটেল। ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ ও ভারতের ভারতী এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশে পরিচালিত তাদের কার্যক্রম একীভূতকরণের বিষয়ে একমত হয়। এরপর উচ্চ আদালতের সম্মতিক্রমে একীভূত কোম্পানি হিসেবে গত বছরের ১৬ নভেম্বর কার্যক্রম শুরু করে রবি। রবি-এয়ারটেল একীভূতকরণের অংশ হিসেবে এয়ারটেল একীভূত প্রতিষ্ঠানটির একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে।

বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে একীভূত প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৫২ লাখ ছাড়িয়েছে। গ্রাহক সংখ্যার ভিত্তিতে এটি এখন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেলফোন অপারেটর। একীভূত প্রতিষ্ঠানে আজিয়াটার ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ, ভারতী এয়ারটেলের ২৫ শতাংশ ও এনটিটি ডকোমোর ৬ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

১৯৯৭ সালে একটেল নামে সেলফোন সেবা চালু করে একে খান গ্রুপ ও মালয়েশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টেলিকম মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির সব শেয়ারের মালিকানা কিনে নেয় আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ। ২০১০ সালে রি-ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে রবি নামে কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সেলফোন অপারেটর ভারতী এয়ারটেল বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে ২০১০ সালে। সে সময় ওয়ারিদ টেলিকমের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনে প্রতিষ্ঠা করা হয় এয়ারটেল বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে ওয়ারিদের কাছে থাকা বাকি ৩০ শতাংশ শেয়ারও কিনে নেয় সিঙ্গাপুরে ভারতী এয়ারটেলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ভারতী এয়ারটেল হোল্ডিংস লিমিটেড। তবে কার্যক্রম শুরুর পর গত কয়েক বছরে প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে ভারতী এয়ারটেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *