বিল গেটসকে টপকে শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস

Slider অর্থ ও বাণিজ্য

Bezos

মাইক্রোসফটের বিল গেটসকে টপকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব নিজের করে নিয়েছেন মাত্র দু’দশক আগে অনলাইনে বই বিক্রি করা সেই জেফ বেজোস। বেজোস যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।

দুই বছর ধরেই বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাবটি নিয়ে রীতিমতো রশি টানাটানি চলছিল ২০১৩ সাল থেকে খেতাবটি ধরে রাখা বিল গেটস এবং উদীয়মান বিজনেসম্যান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মধ্যে।

সর্বশেষ চলতি বছরের প্রথমভাগে ফোর্বস ঘোষিত শীর্ষ ধনীর তালিকাতেও শীর্ষ ধনীর খেতাব থেকে মাত্র ৫০০ কোটি (পাঁচ বিলিয়ন) ডলার দূরে ছিলেন বেজোস। কিন্তু এবার ফোর্বসের জরিপে গেটসকে টপকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনীর মুকুট ছিনিয়ে নিলেন অ্যামাজনের সিইও ৫৩ বছর বয়েসী জেফ বেজোস। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৯১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বা ৭০ বিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় যা দাঁড়ায় সাত লাখ সাড়ে ৩১ হাজার কোটি টাকা। আর বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ফোর্বস জানায়, বৃহস্পতিবার অ্যামাজনের শেয়ার মূল্য ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় বিল গেটসের চেয়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলার বেশি অর্থের মালিক হয়ে গেছেন বেজোস। তিনি অ্যামাজনের ১৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক। যার মূল্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

ফোর্বস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিটে সপ্তাহের শেষ দিকে এসে অ্যামাজনের শেয়ার মূল্যের উল্লম্ফন ঘটেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিটে লেনদেন শেষ হওয়ার পর ফোর্বস আবারও সেরা ধনীর তালিকাটি হালনাগাদ করবে।

এদিকে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে অ্যামাজনে পণ্য বিক্রি বেড়েছে ২৩ শতাংশ। যা ৩৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। জুন পর্যন্ত হিসাব পুরোপুরি প্রকাশিত হওয়ার আগেই ১৬ থেকে ২৪ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।

গত বছর দুবাইভিত্তিক অনলাইন খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান সুকডটকম অধিগ্রহণের পরপরই অ্যামাজনের শেয়ারদর বেড়ে যায়। ফলে ওয়ারেন বাফেটকে পেছনে ফেলে শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসেন বেজোস।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে অর্গানিক ফুড চেইন হোল ফুডসকে (ডাব্লিওএফএম) অধিগ্রহণের ঘোষণা দিয়ে নিজের সম্পদ বাড়িয়েছিলেন তিনি।

এছাড়া এর আগেই ই-কমার্স কোম্পানি অ্যামাজনের পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জেফ বেজোস।

বর্তমানে অ্যামাজন ইন কর্পোরেশন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স ও ক্লাউড কম্পিউটিং কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। ব্যবসা বিস্তারে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছেন বেজোস। তাই তার ও অ্যামাজনের সম্পদ বাড়ছে দ্রুত।

বেজোসের জন্ম মেক্সিকোর আলবার্কে ১৯৬৪ সালে। ১৯৯৪ সালে জেফ বেজোসের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়েছিল অ্যামাজনের। শুরুতে অনলাইনে বই বিক্রি করত কোম্পানিটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা খাতে ডালপালা মেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলভিত্তিক এ কোম্পানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *