এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস :বাগেরহাটের শরণ খোলায় তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দু’ভিক্ষুককে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ক্ষতি গ্রস্থদের মতে, সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ দ্বায়সারা তদন্ত শেষে ভিক্ষুকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেই ইতো মধ্যে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করায় পুলিশি সেবার মান নিয়ে জন মনেপ্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগে ভিক্ষুক দ্বয় দাবী করেন, গত ২৪ মার্চ উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা কবির হাওলাদার (৪০) ও তার প্রতিবেশী একরামুল মুন্সী (৫৮)’র সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ শুর ুহয়। এক পর্যায় উভয়ের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটলে কবির গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে কবিরের স্ত্রী হালিমা বেগম (৩৫) বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ একরামুল সহ ৬ জনকে আসামী করে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২৪। উক্ত মামলায় একরামুলের দুর সম্পর্কীয় আত্মীয় ভিক্ষুক লালভানু (৩৫) ও হাসিনা বেগম (৩০) কে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে আসামী করাহয়। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে সম্প্রতি ভিক্ষুকদ্বয়কে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চূড়াš Íপ্রতিবেদন দাখিল করে থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের আহবায়ক ও ওয়ার্ড আওয়ামী নেতা রোকনুজ্জামান বিপ্লব ও আফজাল হোসেন চাপ রাশী সহ অনেকে বলেন, মারপিটের মামলায় লালভানু ও হাসিনাকে অন্যায়ভাবে আসামী করা হয়েছে। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ঘটনার দিন এলাকায়ও ছিলেন না। তারপরেও পুলিশি তদন্তে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকলে তাতে গড় মিল রয়েছে। তবে, এ বিষয়ে মামলার বাদী কবির হাওলাদারের স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, মারপিটনা করলেও ওই ভিক্ষুকরা হামলার নেপথ্যে ছিল। তাই তাদের আসামী দেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরণখোলার থানারএস.আইশিমুলবলেন, প্রাথমিক তদন্তে ওই ভিক্ষুক দ্বয়ের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাদেরনাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ###