মুসলমান বিশ্বসুন্দরী হলেন তিউনিসিয়ার ফাতমা

Slider নারী ও শিশু
image_154403.fatmaইন্দোনেশিয়ায় মুসলিম নারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমাহ অ্যাওয়ার্ড’ প্রতিযোগিতায় মুসলিম বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট জিতেছেন তিউনিসিয়ার তরুণী ফাতমা বেন গুয়েফ্রাচ। শুধু মুসলমান নারীদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় ১৮ জন ফাইনালিস্টের মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে যান ২৫ বছর বয়সী এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী। পুরস্কার হিসেবে ফাতমা পেয়েছেন একটি সোনার ঘড়ি, সোনার ডিনার সেট ও কাবাঘরের একটি ক্ষুদ্র প্রতিকৃতি। উচ্ছ্বসিত তিউনিসিয়ান তরুণী ফাতমা বলেন, আল্লাহর সহায়তায় আমি এতদূর এসেছি। আমার চাওয়া হলো একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং সিরিয়ার মানুষের মুক্তি। ১৮ জন চূড়ান্ত প্রতিযোগীর মধ্যে কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ডাক্তারের মতো পেশাজীবী তরুণীরাও ছিলেন। ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারীদের জন্যই এ প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত ছিল। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিযোগীদের সবার মাথায় ছিল স্কার্ফ। বিচারকরা শুধু চেহারা বা সৌষ্ঠব দেখেই শ্রেষ্ঠ সুন্দরী নির্বাচন করেননি। তারা কতটা নির্ভুলভাবে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করতে পারেন সে পরীক্ষাও দিতে হয়। এ ছাড়া ইসলাম এবং আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কে তাদের জানাশোনার পরিধিও ছিল বিচার্য বিষয়।
মূলত পশ্চিমাদের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় নারীদের বিকিনি পরিয়ে উপস্থাপন করার প্রতিবাদ হিসেবে এ প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আয়োজকদের একজন জামেয়াহ শেরিফ বলেন, আমরা দেখতে চেয়েছিলাম তারা ইসলামি জীবনাচার সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল। জানতে চেয়েছি তারা কী খায়, কী পরে এবং কীভাবে জীবন কাটায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *