পপি নাচবেন শাবানার গানে

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

base_1500474393-09অভিনেত্রী পপি। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরের এক দশক টানা অভিনয় করেছেন। অর্জন করেছেন তিন-তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ-যাবৎ এ পুরস্কার গ্রহণ করতে মঞ্চে উঠলেও ২৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে যাচ্ছেন তিনি। পপির ভাষায়, এবারের অনুষ্ঠানটি তার পুরো চলচ্চিত্র জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় একটি অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। কারণ এখানেই তিনি পারফর্ম করবেন অভিনেত্রী শাবানা অভিনীত ছবির গানে। বাকিটা তার মুখ থেকেই—

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার মঞ্চে আপনি এর আগে একাধিকবার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এবার নাকি সেই একই মঞ্চে পারফর্ম করতে যাচ্ছেন?

হ্যাঁ, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে আমি পারফর্ম করতে যাচ্ছি। এতে পারফর্মের সুযোগ পেয়ে খুবই ভালো অনুভব করছি।

এ অনুষ্ঠানে যেসব পারফর্ম করবেন

এত দিন অবশ্য গোপন রেখেছিলাম। আজ বলেই ফেলি, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম স্মরণীয় অভিনেত্রী শাবানা অভিনীত ছবির জনপ্রিয় গানে পারফর্ম করব আমি। এটা সত্য, উনি যেভাবে তার ছবিতে পারফর্ম করেছেন, সেটা আমি পারব না; কিন্তু তার মতো করে চেষ্টা করব।

 

শাবানার গানে পারফর্ম করার সিদ্ধান্ত কেন ও কীভাবে নিলেন?

শাবানা ম্যাডাম আমাকে অভিনয়ের অনেক কিছু শিখিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, যেকোনো প্রয়োজনে উনি কোনো শর্ত ছাড়াই আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। ওনার সঙ্গে আমার অনেক ভালো ভালো স্মৃতি আছে। উনি আমাকে স্নেহ করেন। ছবিতে কাজ করতে গিয়ে কখনো মনে হয়নি, উনি অভিনেত্রী শাবানা। সেই কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকেই আমার এ শ্রদ্ধার্ঘ্য। যদিও অনুষ্ঠান আয়োজকরা আমাকে আমার অভিনীত ছবির গানে পারফর্ম করার জন্য বলেছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, শাবানাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এর চেয়ে বড় সুযোগ আর নাও পেতে পারি।

তার কোন কোন গানে পারফর্ম করবেন?

গানগুলোর কথা এখনই বলতে চাচ্ছি না। একটু সারপ্রাইজ হিসেবে রাখতে চাচ্ছি।

তো রিহার্সেল কেমন চলছে?

এখন পর্যন্ত রিহার্সেল শুরু করতে পারিনি। আজ (গতকাল) সন্ধ্যা নাগাদ শুরু করব। হাতে তো আরো চারদিন আছে, আশা করছি

টানা প্রাকটিস করে সবকিছু আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারব। ও আরেকটা কথা, দু-একদিন আগে শাবানা ম্যাডামের বাসায় গিয়ে ওনাকে জানিয়েও এসেছি তার ছবির গানে আমার পারফর্ম করার কথা।

দেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির বেহাল চলছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিষয়টি কতটা প্রভাব রাখতে পারে?

আসলে ইন্ডাস্ট্রি যতই খারাপ থাক, ভালো করার চেষ্টা তো চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য এ ধরনের অনুষ্ঠান উত্সাহব্যঞ্জক হয়ে ধরা দেয়। আবার যেহেতু এটা রাষ্ট্রীয় একটা অনুষ্ঠান। এখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেই উপস্থিত থাকবেন। সেহেতু আমরা তার কাছে গিয়ে সরাসরি আমাদের সংকটের কথা বলতে পারব। এ কারণে আমার কাছে এ বছরের অনুষ্ঠানটি আরো জরুরি মনে হচ্ছে।

সেই পুরনো অভিযোগ, অভিনয়ে আপনাকে আর আগের মতো দেখা যায় না

সবসময়ই যে একজন শিল্পীকে অভিনয়ের মধ্যে থাকতে হবে, তা কিন্তু না। পৃথিবীর সব দেশের জনপ্রিয় অভিনেতারা বছরে একটা-দুটার বেশি ছবিতে কাজ করে না। এজন্য এ ধরনের অভিযোগ শিল্পীদের জন্য অসম্মানজনক বলে আমার কাছে মনে হয়। একই সঙ্গে অভিনয়ের প্রতিও আগ্রহ হারিয়ে যায় তাদের। একটা কথা আবারো বলতে চাই— আমি কখনো বিরতি নিইনি। আমি কাজ করছি প্রতি বছরই। আগে ছবি হতো বছরে দুইশর মতো। এখন তো আর তা নেই। ডিজিটালের নামে সস্তা ছবি বানানো হচ্ছে, সংখ্যাটাও দু-একটিতে এসে ঠেকেছে। আমরা যে মানের কাজ করেছি, সেখানে কোয়ালিটি কম্প্রমাইজ করা সম্ভব নয়। এ কারণে কেউ যদি মনে করে আগের মতো দেখা যায় না, তাহলে যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *