ট্যাংকারের তলানি ফেটে কীর্তনখোলা নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে ডিজেল

Slider অর্থ ও বাণিজ্য

Barisal_River_Accident_Photo_14.07_.17_(6)_বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া পয়েন্টে ১৪ লাখ লিটার জ্বালানিবাহি একটি অয়েল ট্যাংকারের সাথে ক্লিংকার বোঝাই একটি কার্গোর সংঘর্ষ হয়েছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় এই দুর্ঘটনায় দুটি জাহাজের সামনের অংশ বিধ্বস্ত হয়। অয়েল ট্যাংকারের একাংশের তলানি ফেটে বিপুল পরিমাণ ডিজেল নদীর পানিতে ভেসে যায়।কর্তৃপক্ষ অয়েল ট্যাংকারের ফেটে যাওয়া অংশের (খোদল) জ্বালানি অপরাংশে খালাস করে তাৎক্ষণিক বিপর্যয় সামাল দেয়।  এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।  জাহাজ দুটি বর্তমানে নিরাপদে আছে এবং ডুবে যাওয়ার কোনো আশংকা নেই বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা।

এদিকে, নদীতে ভেসে যাওয়া হাজার হাজার লিটার তেল উত্তোলন করে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় দরিদ্ররা বিশেষ ব্যবস্থায় নদী থেকে উত্তোলন করে ডিজেল বিক্রি করায় সেখানে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, সাড়ে তিন লাখ লিটার পেট্রোলসহ প্রায় ১৪ লাখ লিটার জ্বালানিবোঝাই করে এমটি ফজর বরিশালের একটি অয়েল ডিপোর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। অপরদিকে, ভারত থেকে এক হাজার ৬৪ মেট্রিক টন ফ্লাইএ্যাশ বোঝাই করে এমভি মা-বাবার দোয়া-২ নামে একটি কার্গো ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। সকালে অয়েল ট্যাংকার ও কার্গোটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ট্যাংকারের সামনের অংশের তলানি ফেটে নদীতে বিপুল পরিমাণ তেল ভেসে যায়।

দুর্ঘটনার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন এমটি ফজরের সেকেন্ড ড্রাইভার মো. সোহরাব হোসেন এবং এমভি মা-বাবার দোয়ার সুকানী এরশাদ আলী।বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দুটি জাহাজ বর্তমানে নিরাপদ অবস্থানে আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র একটি সূত্র জানায়, ফ্লাইএ্যাশবাহী কার্গোটি কাউখালী থেকে পাইলট না নেয়ায় এর মাস্টার চরকাউয়া পয়েন্ট অতিক্রমকালে বিপরীতমুখী অয়েল ট্যাংকারের সংকেত বুঝতে পারেনি। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।দুর্ঘটনায় অয়েল ট্যাংকার থেকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ লিটার জ্বালানি বের হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  অপরদিকে, স্থানীয়ভাবে মেরামত না করে ফ্লাইএ্যাশবাহী কার্গোটি গন্তব্যে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *