ভারতে আইফোনের সব মডেলের দাম কমাল অ্যাপল

Slider তথ্যপ্রযুক্তি

base_1499010602-3

 

 

 

 

 

বি.এম. রাসেল: ভারতে সব আইফোন মডেলের খুচরা মূল্য ৪ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে অ্যাপল। শনিবারই মূল্য পরিবর্তনের বিষয়টি নিজস্ব ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয় কিউ কুপার্টিনোর প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি ভারত সরকার আরোপিত গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্সের (জিএসটি) প্রভাবে দেশটিতে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে অ্যাপল। এ কারণেই আইফোনের দাম কমানো হয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমস।

অ্যাপলের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৫৬ জিবি স্টোরেজের অইিফোন ৭প্লাস এখন কিনতে ভারতীয়দের ব্যয় করতে হবে ৮৫ হাজার ৪০০ রুপি, যা আগে ছিল ৯২ হাজার রুপি। এছাড়া ৩২ জিবি স্টোরেজের আইফোন ৬এস এখন মিলছে ৪৬ হাজার ৯০০ রুপিতে। এ অংক আগের তুলনায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ কম।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আইফোনের দাম কমানোর পেছনে রয়েছে জিএসটি। বিশ্লেষকদের একজন জানান, ১ জুলাইয়ের আগে সার্বিকভাবে আইফোনের ওপর আরোপিত করের বোঝা ছিল বেশি। এখন জিএসটি ও স্মার্টফোন আমদানিতে করের বোঝা কমে যাওয়ায় ডিভাইসের দাম কমাল প্রতিষ্ঠানটি।

অন্যদিকে উইস্ট্রন করপোরেশনের মাধ্যমে বেঙ্গালুরুতে আইফোন এসই উত্পাদন করছে অ্যাপল। ফলে এ মডেলটির দামও কমেছে অন্তত ৪ শতাংশ। যেমন আগে ৩২ জিবির মডেলটির দাম ২৭ হাজার ২০০ রুপি থাকলেও এখন তা নেমেছে ২৬ হাজার রুপিতে। ১২৮ জিবির আইফোন এসইর দাম ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার রুপিতে। চীনে আইফোন বিক্রি কমে যাওয়ায় ভারতের বাজারকে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখছে আইফোন নির্মাতা। কারণ চীনের পর স্মার্টফোনের বৃহত্ বাজার ভারত। এ বাজার ধরে রাখতে দু’বছর ধরেই দেশটিতে বিনিয়োগ করছে কোম্পানিটি।

ফলস্বরূপ গত মাসে বেঙ্গালুরুতে আইফোন এসই উত্পাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া হায়দরাবাদে অ্যাপল ম্যাপ উন্নয়নে একটি কেন্দ্র স্থাপনেও বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে চার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। অ্যাপলের রাজস্ব আহরণেও ভূমিকা রয়েছে ভারতের। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশটিতে অ্যাপলের রাজস্ব বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি।

ভারতীয়দের অনেকেই গ্যাজেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্র্যান্ডে গুরুত্ব দেন। সে বিবেচনায় ভারতে আইফোন বেশ আকর্ষণীয়। আইফোনের মূল্যহ্রাসে দেশটির প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে অ্যাপলের অবস্থান আরো দৃঢ় হবে বলেই আশা সংশ্লিষ্টদের। ভারতের বাজারে বর্তমানে মার্কিন আইফোন নির্মাতার অবস্থান দ্বিতীয়। শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *