সম্পাদকীয়: হাউ মাউ কান্না এখন রীতি হয়ে যাচ্ছে!

Slider বাধ ভাঙ্গা মত সম্পাদকীয় সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

f9ef9214b1a5af2460482762bb0a30a4-595b2f1a8c60c

 

 

 

 

চোখ বেঁধে নিয়ে যায়। আবার ফেরতও আসে। উদ্ধারের জন্য ভিকটিমদের পরিবার  যে পরিমান উত্তেজনা করেন উদ্ধারের পর আর করেন না। এমনকি কথাও বলেন না। তাহলে  এটা কোন নাটক? নাকি কোন ঘটনা।  চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়ার পর হাউ মাউ করে কেঁদে উঠে অপহৃদের পরিবার। আবার ফিরে পাওয়ার পর একই ভাবে কান্নার রোল পরে যায়। হারানো ও প্রাপ্তী উভয় ক্ষেত্রেই হাউ মাউ কান্না কিন্তু কান্নার প্রকৃত কারণ জেনেও প্রকাশ করা হয় না। তাহলে এটা কিসের আলামত?   তাহলে সরকারী বাহিনী ছাড়া আরো কি কেউ আছে যে মানুষকে চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায় আবার ফেরতও দেয়! অবশ্য বেশ কিছু লোক এখনো উদ্ধার হয়নি।জাতি আশা করে তারাও ফেরত আসুক।

কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহারের মতো গত সাড়ে তিন বছরে ‘রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ’ বা ‘অপহরণের’ পর পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন কমপক্ষে ২৭ জন। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে কিছু অভিন্ন ছক বা মিল লক্ষ করা যায়। অপহৃত ব্যক্তিদের একটি বড় অংশকে অপহরণের পর ‘উদ্‌ভ্রান্ত’ অবস্থায় কোনো সড়কে পাওয়া যায়। কিন্তু ফিরে আসার পর অনেকে কোনো কথা মনে করতে পারেন না। বাকিরা মুখে কুলুপ আঁটেন। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে ২০১৪ সাল থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বা অপহরণের শিকার হয়েছেন ২৮৪ জন। তাঁদের মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৪৪ জনের, পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৩৬ জনকে এবং পরিবারের কাছে ফিরে আসেন ২৭ জন। বাকি ১৭৭ জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

গনতন্ত্র আছে সংবিধানে। বাস্তবে আছে বা নেই তা জাতির অজানা নয়। রাষ্ট্রের নাগরিকের নিরাপত্তা গনতন্ত্রের সঙ্গে একাকার । গনতন্ত্রও মৌলিক অধিকার দুটি এক কিন্তু অভিন্ন। তাহলে গনতন্ত্র না থাকলেও নাগরিকের জীবন ধারণ  ও নিরাপত্তার অধিকার অক্ষুন্ন রাখা রাষ্ট্রের কর্তব্য। কিন্তু এই ধরণের হাউ মাউ কান্না রাষ্ট্র ও সরকারকে বিব্রত করে কি না জানিনা। তবে সরকার তেমন ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে না, এটা সঠিক। যদি এই ধরণের অপকর্মের সঙ্গে সরকার জড়িত থাকে তবে ভবিষৎ অন্ধকার বলেই মনে করতে হবে।

 

ডক্টর এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইনচীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *