গত বুধবার বিকেলের দিকে কথা হয় তাদের সঙ্গে। এই দুই শিক্ষার্থীর মতো অনেকেই দেখতে এসেছেন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের মেরামত ও প্রস্তুতির কাজ কত দূর? কেউ কেউ ছবিও তুলছেন।
ঈদুল ফিতর সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবার ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এখানে প্রায় এক লাখ মুসল্লির একসঙ্গে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আলাদা করে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকছে নারীদেরও।
রমজান মাস এলেই শুরু হয় জাতীয় ঈদগাহ মেরামতের কাজ। ঈদের দিন সকাল সাড়ে আটটায় এখানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।
ঈদগাহ মাঠের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গত বুধবার পর্যন্ত প্যান্ডেলের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ। দেখা গেল, মাঠের মাঝে রাখা হয়েছে ফ্যান ও নামাজ পড়ার জন্য লম্বা জায়নামাজ এবং এর ওপরে দেওয়ার জন্য সাদা কাপড়।
ঈদগাহ ময়দানের খুঁটি গাড়ার কাজ শেষ, প্যান্ডেলের কাজ কিছু বাকি। এ কাজ শেষেই শুরু হবে ফ্যান লাগানোর কাজ। পুরো মাঠ প্রস্তুত করতে ২২০ শ্রমিক ১৩ রমজান থেকে পুরোদমে কাজ করছেন। যেহেতু এবার ঈদ বর্ষার মধ্যে, তাই বৃষ্টি নিরোধক ত্রিপল লাগানো হচ্ছে শামিয়ানার ওপর। প্রথমে বাঁশ দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করা হয়। এরপরই এর ওপরে দেওয়া হয় শামিয়ানা, তার ওপরে ত্রিপল। একই সঙ্গে চলছে পুরো ইদগাহ মাঠের সীমানা ও আশপাশের গাছে রঙের কাজও। ময়দানের সামনের মিনারে রং লাগানো শেষ। মাঠের ঘাসও ইতিমধ্যে কেটে সমান করা হয়েছে।
ঈদ বর্ষাকালে হওয়ায় পানিনিষ্কাশনে গুরুত্ব বেশি দেওয়া হচ্ছে। ময়দানের আশপাশে কোথাও যেন পানি না জমে, সে দিকটি লক্ষ রাখা হচ্ছে বিশেষভাবে। তাই কিছু শ্রমিককে ব্যস্ত দেখা গেল একটু নিচু জায়গাগুলোতে মাটি ও বালু ফেলতে। আর দু-একজন কোদাল ও বেলচা দিয়ে তা সমান করছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, ঈদের চাঁদ দেখা গেলে ওই দিন সন্ধ্যা থেকে তারা জায়নামাজ বিছানোর কাজ শুরু করেন।
ডিএসসিসি, পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, আগামী শনিবারের মধ্যেই নিরাপত্তার জন্য ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ছাড়াও আলাদা ক্যামেরা ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও র্যাব। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদগাহের নিরাপত্তায় থাকবে সোয়াট টিম। থাকবে বিশেষ বাহিনী ও ডগ স্কোয়াড। ঈদগাহের চারপাশে সাদাপোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।