তারা প্রাচ্যের অভিজাত অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। তাদেরকে ধরা হয় জাতির ভবিষ্যত নেতৃত্ব। কিন্তু সেই শিক্ষার্থীরা এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যেভাবে হাজির হলেন তাকে সবার চোখ আকাশে ওঠার অবস্থা। প্রকাশ্য রাস্তায় তারা অর্ধনগ্ন হয়ে উপস্থিত। কারো গায়ে সামান্য এক টুকরো কাপড়। কেউবা কোনোমতে লজ্জা ঢেকে রেখেছেন। তা করতে যে কাপড়টি ব্যবহার করেছেন তা কোনো সভ্য সমাজে চলে না। কেউবা গায়ে শুধু পেইন্ট দিয়ে রঙ করে নগ্নতাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে কি নগ্নতা ঢাকে! স্পষ্ট হয়ে উঠেছে শরীরের প্রতিটি ভাজ। স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো অনেকটাই অনাবৃত। ছেলে, মেয়ে সবারই এক অবস্থা। এ অবস্থায় সমালোচনা করে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন দ্য সান। বলা হচ্ছে, ওইসব শিক্ষার্র্থী অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েট। ফলে তারা অপরিণত এমনটা বলার সুযোগ নেই। তারা যোগ দিয়েছিলেন পিয়ার্স গ্যাভেস্টন সোসাইটি সামার বল-এ। দ্য সান এ নিয়ে একগাদা ছবি প্রকাশ করেছে, যার সবগুলো সব স্থানে প্রকাশও করা যায় না। সান লিখেছে, তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় একটি বাস। আর এমন পোশাক পড়ে তাতে ওঠার জন্য অপেক্ষায় টপলেস যুবতীরা। তাদের সঙ্গে রয়েছেন ছেলেরাও। এসব ছেলে বা যুবকরাও কেউ কেউ নারীদের মতো করে সেজেছে। এর আগে যেসব বল অনুষ্ঠান হয়েছে তাতে দেখা গেছে সরাসরি শারীরিক সম্পর্কের শো। মাদক সেবনের ছবি। আগন্তুকদের সঙ্গে তাদের অশালীন সম্পর্কও ধরা পড়েছে। বুধবার প্রতিজন ৯০ পাউন্ড করে দিয়ে এবারের বলে অংশ নিয়েছেন ৫০০ জন। তারা ৫ মাইল দূরে ক্যাসিংটনে এবারের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। এমন কর্মকা-ে একজন মা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এসব শিক্ষার্থীর কলেজে থাকা উচিত।