ডেস্ক: বেশ ঝামেলায় আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার আগে ও পরে থেকে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না তাঁর। এবার ফাঁস হলো তাঁর ব্যক্তিগত ঋণের তথ্য।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে ট্রাম্পের ঋণের দায় এখন প্রায় ৩২ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
সরকারি ওয়েবসাইটে ফাঁস তথ্যে দেখা যায়, ডয়েচে ব্যাংক ট্রাস্ট কোম্পানি অ্যামেরিকাস থেকে ট্রাম্প ঋণ নিয়েছেন ১৩ কোটি ডলার। এই ব্যাংক জার্মানির ডয়েচে ব্যাংক এজির একটি ইউনিট। এ ছাড়া আবাসন খাতের বাণিজ্যিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান লাড্ডার ক্যাপিটালের লস অ্যাঞ্জেলেস ও ফ্লোরিডা শাখা থেকে ট্রাম্প ঋণ নিয়েছেন ১১ কোটি ডলার।
ফাঁস হওয়া এই তথ্যের বিষয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ও স্বাভাবিক পদ্ধতি অনুসারে, এই নথি প্রত্যয়িত হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউসও। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্প তাঁর ব্যক্তিগত আর্থিক বিবরণী প্রকাশের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মুখপাত্র মুখ খোলেননি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০১৬ সালে ট্রাম্পের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ২০১৭ সালের শুরুতে এই সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪০ কোটি ডলার। ট্রাম্পের আয়ের অন্যতম উৎস গলফ রিসোর্ট ব্যবসা। মায়ামিতে গলফ রিসোর্ট ব্যবসা থেকে ট্রাম্পের আয় আসে প্রায় ১২ কোটি ডলার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিভিন্ন সময় মোট ৫৬৫টি করপোরেশনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ট্রাম্প। গত ১৯ জানুয়ারি এগুলোর অনেক পদ থেকেই সরে দাঁড়ান তিনি।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই ট্রাম্পের ব্যবসায়িক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার চলাকালে ট্রাম্প তাঁর আয়কর বিবরণী প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান। এর মাধ্যমে ট্রাম্প দেশটির দীর্ঘ ঐতিহ্যের ব্যত্যয় ঘটান। নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর আয়কর নিরীক্ষা করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে তা প্রকাশ করা হবে। গত মার্চে ট্রাম্পের ২০০৫ সালের আয়কর বিবরণী ফাঁস হয়। এতে দেখা যায়, ২০০৫ সালে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয়ের বিপরীতে ট্রাম্প ৩৮ মিলিয়ন ডলার আয়কর দিয়েছেন।