চৌদ্দগ্রামে কৃষকের মুখে হাসি

কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি ফুলজান বিবির বাংলা

dan-poriborton-311x186কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের সর্বত্র শুরু হয়েছে আমন ধান কাটার উৎসব। চলতি মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমন ধানের ফলন গত বছরের চেয়ে ভালো হয়েছে। ধানে পোকামাকড়ের আক্রমণও ছিল কম। ফলে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ধান আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা এবার স্বর্ণ বাসুডিন, বি ধান-৩৪, ৩৮, ৪৬, ৪৯, ৫১, ৫২, ৫৬, ৫৭, বিআর-১০, ১১, ২৩, ২৯, ৫২, রঞ্জিত জাতের ধান চাষ করে। এরমধ্যে বি ধান-৫৬ , ৫৭ ও স্বর্ণ বাসুডিন জাতের ধান ভালো ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি অফিস মৌসুমের শুরু থেকেই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে।
দেখা গেছে, উপজেলার খিরণশাল, বাতিসা, দৈয়ারা, ফালগুনকরা, মিরশান্নী, নালঘর, শ্রীপুর, কাশিনগর, বরদৈন, আলকরা, বাকগ্রামসহ বেশ কয়েকটি এলাকার জমিতে আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা শ্রমিক দিয়ে ধানা কাটা শুরু করেছেন।
কৃষকরা জানান, লাগামহীনভাবে বীজ, সার, কীটনাশক ও কৃষি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সেই তুলনায় ধানের দর বৃদ্ধি না পাওয়ায় চাষিরা আমন ধানের আবাদ কম করতে শুরু করেছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কৃষকরা বাধ্য হয়েই ধান চাষ করছেন।
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের কৃষক আবুল কালাম, সোলেমান, খলিল মজুমদার ও মীরু জানান, উপজেলার প্রায় সব এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। তুলনামূলকভাবে এবার ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে। দাম ভালো পেলে ক্ষতি পুষিয়ে চাষিরা লাভবান হতে পারবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসাইন বলেন, মৌসুমের শুরুতেই কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে ধানের ফলন বৃদ্ধির জন্য কাজ শুরু করে। চাষিদের মাঝে সুষম সার ও বালাইনাশক ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। মাঠে এবার ধান ভালো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *