প্রধান মন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসি ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল, ক্লার্ক ঝর্না আক্তারের খুটির জোর কোথায়

Slider খুলনা

gopalgonj Photo-1

 

 

 

 
আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ : কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রের টি,এইচ,এ ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল এবং ক্লাক ঝর্না আক্তার এর বিরুদ্দে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেন উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: রুহুল আমিন হাওলাদার। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: রুহুল আমিন হাওলাদও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে অভিযোগ করেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা এই কোটালীপাড়া। এখানে দুস্থ অসহায় মানুষের সেবার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মা বোনদের চিকিৎসার জন্য উন্নত মানের হাসপাতাল করেছেন।এখানে উন্নত মানের যন্ত্রপাতি ও উন্নত মানের অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে মেশিন,ইসিজি অলট্রা¯েœাগ্রাম,এ হাসপাতালে দিয়েছেন। ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল সুকৌশলে এসব , এক্স-রে মেশিন,ইসিজি আলট্রা¯েœাগ্রাম বন্ধ রেখে বাহিরে ডায়গনোষ্টিক সেন্টরের মালিকদের সাথে হাত করে বানিজ্য করে আসিতেছে। । ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল যোগদানের পরে গর্ভবতী মা ও বোনেরা আসলে বা সিজার করতে হলে তাদেরকে প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠানো হয়। এ সকল ডাক্তারাই প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে সিজার করছে। সেখান হতে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল। এখানে মাসে ২/৪ জন প্রভাবশালী লোকজনদের রোগী জির করা হয়। এ হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার পদে প্রথম যোগদান করে আর এখানেই আর এম ও পদে পদউন্নতি হয়। আবার এখানেই উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা হিসাবে পদউন্নতি পায়। দীর্ঘ ২০/২২ বছর এক জায়গায় কর্মরত রয়েছে।তার গ্রামের বাড়ি কোটালিপাড়া ও মাদারীপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায়। খোজ নিয়ে জানা গেছে কোটি কোটি টাকার জমি জমা কিনেছেন ্ওবং কোটালীটাড়া সদরে গনেশ পাগলের আশ্রমের পাশে একটি বাড়ি কিনেছেন যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা প্রায়। এ ছাড়া ডা: প্রেমানন্দ মন্ডলের বিরুদ্দে অগনিত অভিযোগ রয়েছে। অত্র হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স এর ভাড়ার টাকা নিয়মিত সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল ও ক্লার্ক ঝর্না আক্তার ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। ২/৩ মাস পর সামান্য কিছু টাকা জমা দিচ্ছে। জানা গেছে হাসপাতালে ৯/১০ বছর যাবৎ কর্মচারিদের কোন পোষাক দেয়া হয় নি, ভুয়া বিল ভাইচার দেখিয়ে সব টাকা আত্মসাত করছে। ২০১৭ সালে পোষাকের বাজেট হলে কর্মচারিদের পোষাক না দিয়ে ২/৩ হাজার নগদ টাকা দিয়ে পোষাকের ভাউচার দেখিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। বাদবাকি টাকা ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল, ক্লার্ক ঝর্না আক্তার ও ঝন্টু বিশ^াস ভাগ করে নেয়। ক্লার্ক ঝর্না আক্তার স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে ৩/৪ টি সরকারী কোয়াটার কর্মচারিদের না দিয়ে নিজে দখল করে আছে। তাছাড়া ডাক্তাদের কোয়াটার স্টাফ নার্সদের ভাড়া দিয়ে ডরমেন্টরি হিসাবে বাসা ভাড়া কাটছে। জানা গেছে কোটালীপাড়া প্রতিটি ব্যাংকে ও পোষ্ট অফিসে ক্লার্ক ঝর্না আক্তারের একাউন্টে বিশাল অঙ্কের টাকা রয়েছে।ই,পি,আই বিভিন্ন প্রোগ্রামের টাকা ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে ভাগাভাগি করে নেয়। এছাড়াও ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল বিভিন্ন কর্মচারিদের অফিসের ডিউটি না করিয়ে সুইপার ও নৈশ প্রহরী দিয়ে জরুরি বিভাগের ডিউটি করানো হয়।
এব্যাপারে ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল জানান,আমার বিরুদ্দে সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে কোটালীটাড়া সদরে গনেশ পাগলের আশ্রমের পাশে বাড়ি কেনার কথা শিকার করে এবং সুইপার ও নৈশ প্রহরী দিয়ে জরুরি বিভাগের ডিউটি করানো কথা বললে এড়িয়ে যায়। ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল ও ক্লার্ক ঝর্না আক্তার বিভিন্ন মাধ্যাম দিয়ে সাংবাদিকদেও ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *