রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি: শ্রীপুরে বাবা-মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলার দ্বিতীয় আসামি আবদুল খালেক (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গোপন সংবাদে ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার ভোররাতে বগুড়ার ধুনট উপজেলা থেকে খালেককে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া খালেক এ মামলার ২ নম্বর আসামি। তাঁর বাড়ি শ্রীপুরের কর্ণপুর সিটপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আলিম উদ্দিন ব্যাপারী।
মামলার প্রধান আসামি মো. ফারুক ২৬ মে গ্রেপ্তার হন। ২৫ মে গ্রেপ্তার হন ৩ নম্বর আসামি বোরহান উদ্দিন। এ ছাড়া ঘটনার দিন শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার দায়িত্বে থাকা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বগুড়া পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহায়তায় ধুনট থেকে খালেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। সবশেষ ধুনটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, মামলার বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মেয়ের শ্লীলতাহানি, গরু চুরি যাওয়া ও প্রতিবেশীদের হামলার হুমকির বিচার না পেয়ে শ্রীপুরের কর্ণপুর সিটপাড়া গ্রামের হযরত আলী তাঁর আট বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে গত ২৯ এপ্রিল ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মঘাতী হন। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে হযরত আলীর স্ত্রী হালিমা সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া গরু চুরির ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়।