সর্বশেষ রাজনৈতিক হিসেব কষলে দেখা যাবে বর্তমান সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে শৃষ্ঠাচারের কোন আলমত নেই। আলমত সৃষ্টি হওয়ারও কোন সম্ভাবনা নেই। ক্ষমতায় থাকতে আর ক্ষমতায় যেতে যা যা করা দরকার রাজনৈতিক দল গুলো সবই করতে রাজি। করছেও তাই। ক্ষমতা ভোগ ও লাভের প্রতিযোগিতার যাঁতাকলে পিষ্ট এখন দেশ ও জনগন।
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের রাজনীতিকেরা জীবিত লোকদের নিয়ে রাজনীতি করতে করতে মৃত লোকদের নিয়ে বেশী টানাটানি শুরু করেছেন। যে কাজ করলে ফলাফল শুন্য তা জেনেও তারা কাজ করছেন। আমাদের টাকা খরচ করছেন বিনা কারণে।
শুনে কষ্ট লাগে যখন রাজনৈতিক নেতারা বলেন, জনগন সকল ক্ষমতা উৎস। তখন একজন নাগরিক হিসেবে লজ্জা¡বোধ করি। কারণ বাংলাদেশে কবে কোন সময় জনগনের ভয়ে কোন রাষ্ট্রনায়ক ক্ষমতা দখল থেকে বিরত থেকেছেন? এরশাদ থেকে যদি মনে করি তবে কে বলতে পারবেন জনগন সকল ক্ষমতার উৎস ছিল? স্বৈরাচারী এরশাদ জোরপূর্বক ক্ষমতা ভোগ করলেন। ৯১ সালে জনগনের ভোট ছাড়া একটি সরকার সাধারণ নির্বাচন দিলেন। বিএনপি ক্ষমতা নিল। আওয়ামীলীগ বলল, ভোটে কারচুপি হয়েছে। ৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা নিল। বিএনপি একই অভিযোগ করেছে। তবে আগে পরে উভয় দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অনির্বাচিত সরকার বলেছে। যদি তাই হয়, তবে অনির্বাচিত সরকারের অধীন নির্বাচিন কি বৈধ হবে?
অন্যদিক থেকে যদি বলি, ৯৬ সালে বিএনপি ৪৮ আসনে ভোট ছাড়াই এমপি বানিয়েছে। এবার আওয়ামীলীগ ১৫৪ আসনে ভোট নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি।
তাহলে আপনারাই বলুন, জনগন সকল ক্ষমতার উৎস কথাটা কি সঠিক?
সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যাবে, বর্তমান সরকার প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে বিপাকে রয়েছেন। ক্ষমতায় থাকার জন্য যা যা করা দরকার করছেন। যাকে যে ধরণের সুবিধা দেয়া দরকার দিচ্ছেন। ফলে রাষ্ট্রের চেইন অব কমান্ড ভঙ্গুর অবস্থায় পড়ে গেছে। ফলে ত্রয়ী পরজীবী যেমন তদ্বিরবাজ, চাঁদাবাজ আর টেন্ডারবাজের সুদিন এসে গেছে। বেকায়দায় শুধু জনগন।