ভোলায় শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

Slider বরিশাল শিক্ষা

 

 

180820BHOLA_kalerkantho_PIC

 

 

 

 

নিজস্ব প্রয়িবেদক ; ভোলায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের বিচার দাবিতে আজ সোমবার ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এ হামলার ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, গতকাল রবিবার সকালে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের শহীদ সালাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভা চলছিলো। এ সময় স্থানীয় খোর্শেদ আলম, তাজল ইসলাম, হাসান মাতাব্বর, আমির হাওলাদার, আলমগীর হাওলাদারসহ একদল সন্ত্রাসী বাহিনী স্কুলের লাইব্রেরীতে ঢুকে পড়ে। প্রধান শিক্ষক তাদেরকে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই তাদেরকে কেন ম্যানেজিং কমিটিতে রাখা হলো না এর জবাব চেয়ে প্রধান শিক্ষক সরল কুমাড়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করার পর স্কুল থেকে বের করে দেয়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি টের পেয়ে শিক্ষককে উদ্ধার করতে লাইব্রেরীতে আসলে তাদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাঁধা দেওয়া হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা স্কুলের আসবাবপত্র ও মূল্যবান মালামাল ভাঙচুর করে চলে যায়। পরে প্রধান শিক্ষক সরল কুমার সরকারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এ হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে আসে। তারা প্রধান শিক্ষক সরল কুমার সরকারের ওপর হালার প্রতিবাদে সন্ত্রাসী খোর্শেদ আলম, তাজল ইসলাম, হাসান মাতাব্বর, আমির হাওলাদার, আলমগীর হাওলাদারসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে।

শিক্ষার্থী ইনছানা, রাবেয়া, তুহিন, মহিন, তানিম, সাথী বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছেন জাতি গড়ার কারিগর। আজ শিক্ষকদের ওপর হামলা হচ্ছে। কাল আমাদের ওপর যে হামলা হবেনা এর নিশ্চয়তা কি? তারা আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য বিদ্যালয়ে আসে। কিন্তু এভাবে শিক্ষকদেরকে যদি মারপিট করে লাইব্রেরী থেকে বের করে দেওয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা কি জন্য বিদ্যালয়ে আসবে। তারা প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ছে।

এদিকে মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত খোরশেদ আলম বলেন, রবিবার আমি ওই স্কুলে যাই। এ সময় তাজল ইসলাম, হাসান মাতাব্বর, আমির হাওলাদার, আলমগীর হাওলাদার আমার সাথে ছিলো। আমি প্রধান শিক্ষককে স্থানীয় সুশিল সমাজের লোকজনকে নিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য বলি। তাকে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির বলেন, প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *