ঘরের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে ন্যুনতম প্রতিরোধ গড়তে পারল না আয়ারল্যান্ড। ত্রিদেশীয় সিরিজের আজ রবিবারের ম্যাচে কেবল তারাই হারল তা নয়; স্বাগতিকদের পরাজয়ে শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। কিউইদের দেওয়া ৩৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে আইরিশরা। এর ফলে ৩ ম্যাচে ৩ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল নিউজিল্যান্ড। আগামী বুধবার কিউইদের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ১০।
ডাবলিনের ম্যালাহাইডে বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১ রানেই প্রথম উইকট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ লড়াই করেন অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। এড জয়েসের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তিনি ৪৫ রানের জুটি গড়েন। জয়েস ১৭ রান করে আউট হলে আর সঙ্গী পাননি অধিনায়ক। চতুর্থ ব্যাটসম্যন হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে ৫ চার এবং ১ ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। ৯০ রানেই ৬ উইকেট হারায় আইরিশরা। শেষদিকে লেজের দাপটে ৩৯.৩ ওভারে ১৫৪ রানে থামে তাদের ইনিংস।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪৪ রানের পাহাড় গড়ে কিউইরা। সেঞ্চুরি করেন ওপেনার কাম অধিনায়ক টম ল্যাথাম। শেষ দিকে কলিন মুনরো ১৫ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে আইরিশদের কফিনে শেষ পেরকটা ঠুকে দেন। উদ্বোধনী জুটিতেই ৭০ রান তোলেন লুক রঞ্চি এবং টম ল্যাথাম। রঞ্চি ৩১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৩৫ রানের ঝড় তুলে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ল্যাথামের সঙ্গে ৭৫ রানের আরেকটি বড় জুটি গড়েন নেইল ব্রুম। পিটার চেইসের বলে জয়েসের হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি ৪২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৮ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ১১১ বলে ৯টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১০৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ল্যাথাম।
এরপর প্রত্যেকেই রান করেছেন। অভিজ্ঞ রস টেইলর ৬৪ বলে ৬ চারে ৫৭ রান করেন। অ্যান্ডারসন ২০ এবং স্যান্টনার ১৯ রানে আউট হন। এরপরই ঝড় ওঠে ডাবলিনের ম্যালহাইডে। ৭ নম্বরে নেমে কিউই বোলারদের তুলোধুনো করেন কলিন মুনরো। ১৫ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ওভার বাউন্ডারিতে ৪৪ রান তুলে রীতিমতো নির্যাতন করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পিটার চেইজ উইকেটকিপার ওব্রেইনের তালুবন্দী করে থামান তাকে। চেইজ এবং ইয়ং ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।