আগের তুলনায় নৌ-দুর্ঘটনা কমে এসেছে : শাজাহান খান

Slider রাজনীতি সারাদেশ

185033shahazan1_kalerkantho_pic

 

 

 

 

নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আগের চেয়ে নৌপথ এখনও সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব ও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। আজ রবিবার ঢাকায় শিশু একাডেমী মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আজ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত দেশব্যাপী নবম বারের মতো ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ’ পালন করা হচ্ছে। এ বছরের নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের মূল প্রতিপদ্য হচ্ছে “দেশ যাবে এগিয়ে যাত্রা হোক নিরাপদ, নৌ আইন মানব মোরা এটাই হোক অঙ্গীকার”।

মন্ত্রী বলেন, আগের তুলনায় দেশে নৌ-দুর্ঘটনা কমে এসেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশেষ করে নৌযান মালিক, শ্রমিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা, বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদফতর, নৌ-পুলিশ, কোষ্টগার্ড কর্মকর্তাদের কার্যকরী পদক্ষেপ এবং জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে ২০১৬ সালে কোন যাত্রীবাহী নৌযান ডোবেনি।

শাজাহান খান বলেন, নৌ দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জনসচেতনতা গড়ে তোলা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কেউ যাতে লঞ্চে ভ্রমণ না করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে আরো সচেতন হতে তিনি পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, আগে লঞ্চ তৈরি করে নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিত। এতে নৌযানে অনেক ত্রুটি থেকে যেত। কিন্তু এখন তা আর সম্ভব নয়, এখন নৌযান তৈরির জন্য প্রথমেই নৌ অধিদপ্তর থেকে নকশা অনুমোদন করে নিতে হয়।

নৌমন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জনবল বৃদ্ধির ৯০ ভাগ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে। বাকি কাজ শিগগিরই সম্পন্ন করা হবে। তিনি আরো বলেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার আছে মাত্র চারজন, আর নৌযান রয়েছে ১০ হাজার এর অধিক। যা দিয়ে ঠিকমত নৌযান সার্ভে করা সম্ভব নয়।

মন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জন্য নতুন ২১টি সার্ভেয়ার, ৫৪ টি ইন্সপেক্টর, ১০টি পরীক্ষক, সম্পূর্ণ নতুন করে ৬টি নেভাল আর্কিটেক্ট, সার্ভে অফিস ৯টি, ইন্সপেক্টর অফিস ১০টি, মেরিন কোর্ট একটি এবং দুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এগুলোর বাস্তবায়ন হলে নৌ সেক্টরে সুশৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে নৌপরিবহন অধিদপ্তরে ৪ টি সার্ভেয়ার, ৭ টি ইন্সপেক্টর, ২ টি পরীক্ষক, ৪ টি সার্ভে অফিস, ৭ টি ইন্সপেক্টর অফিস, একটি মেরিন কোর্ট এবং দুজন ম্যজিস্ট্রেট বিদ্যমান রয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. জ্ঞান রঞ্জন শীল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সভাপতি মাহবুবউদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোনিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো: নুরুল হক, শ্রমিক নেতা শাহ আলম ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *