বাকি ১০ জন হলেন শহরের মধ্যঅরণকোলার মাসুম আহমেদ, ইস্তা গ্রামের সাইফুদ্দিন, শেরশাহ রোডের সবিরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, দুই ভাই মাহবুব হাসান ও প্রিন্স ইসলাম, জাফর ইকবাল, পূর্বটেংরীর রনি ইসলাম, নূরমহল্লার জাহাঙ্গীর হোসেন ও আমিনপাড়ার মোহাম্মদ বিন সালামের ছেলে ফাহাদ। গ্রেপ্তারের পর এই ১১ জনকে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের ভাষ্য, ঈশ্বরদীতে শিরহান শরীফ তমালের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। গতকাল দুপুরে বাজারে ফুড জংশন ও লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের দুইটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর শহরের কলেজ রোডে মুক্তিযোদ্ধা আজমল হক বিশ্বাসের ছেলে যুবলীগের সাবেক নেতা আরিফুল হাসান বিশ্বাস ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসের শহীদ আমিনপাড়ার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে।
বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসের বাবা আতিয়ার রহমান বিশ্বাস গতকাল রাতেই বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় তমালসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, গতকাল একাধিক হামলার ঘটনার মধ্যে শুধুমাত্র জুবায়ের বিশ্বাসের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পাবনা ও ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ। গতকাল রাত আড়াইটার দিকে শহরের আলিবর্দী রোডে ভূমিমন্ত্রীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। বাড়ি থেকে মন্ত্রীর ছেলে তমালকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি ১০ জনকে শহরের বিভিন্ন এলাকা ও বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।