ঝিনাইদহে পৃথক অভিযানে দুই জঙ্গী আস্তানায় নিহত দুই অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত, বাড়ির মালিক আটক

Slider খুলনা জাতীয় সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

Jhenaidah Moheshpur Photo

 

 

 
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর হঠাৎপাড়া গ্রামের ‘জঙ্গি আস্তানা’য় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নব্য জেএমবির দুই ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছেন। তবে বজরাপুরে নিহত দুজনের একজনের নাম তুহিন। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। এ ঘটনায় বোমার স্প্রিন্টারে আহত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম ও এসআই মহসিন বলে জানিয়েছেন মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদুল কবীর।

অভিযানকালে বাড়ির মালিক জহুরুল ইসলাম ও ছেলে জসিম উদ্দীনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের শরাফৎ হোসেনের বাড়িতে পৃথক আরেক দফা অভিযানে তার ছেলে শামিমকে আটক করা হয়েছে। ওই বাড়ি থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও ৮টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

শরাফতের বাড়িতে আটক শামিমের বন্ধু হাসান নামে এক যুবক থাকলেও তার হদিস মিলছে না। খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদ রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, মহেশপুরের বজরাপুরে নব্য জেএমবির আস্তানাটিতে সকালে অভিযান শুরু করলে ভেতর থেকে জঙ্গিরা বোমা ও গুলি ছুড়েতে থাকে। এসময় এক জঙ্গী শরীরে বোমা বেঁধে পুলিশের দিকে দৌড়ে আসতে খাকলে পাল্টা গুলিতে তিনি নিহত হন।

ডিআইজি বলেন, এসময় ঘরের ভেতরে সুইসাইডাল ভেস্টেরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আরো আত্মঘাতি এক জঙ্গী নিজেকে উড়িয়ে দেন। পরে বাড়ির মালিক জহিরুল ইসলাম ও তার ছেলে জসিমকে পুলিশ আটক করে। তিনি আরো জানান, জেলা সদরের লেবুতলা গ্রামে জঙ্গি আস্তানা মৃত শরাফত মন্ডলের বাড়িতে পুলিশ সকালে অভিযান চালিয়ে ৮টি বোমা ও ১টি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে শামীম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। লেবুতলায় অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বজরাপুরের আস্তানায় ঢাকা থেকে বোম ডিস্পোজাল ইউনিট আসার পর বাড়ির ভিতরে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হবে।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান জানান, পাশ্ববর্তী এলাকায় জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে দুই’শ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারী করা হয়েছে। ফলে ঘটনার আশপাশে মিডিয়া কর্মী বা সাধরণ মানুষ যেতে পারছে না। এর আগে গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনিপাড়ার ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহ ওরফে প্রভাত ওরফে বেড়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে ২০ ড্রাম রাসায়নিক দ্রব্য, বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রিক ডিভাইস, একটি বিদেশি পিস্তল, সাতটি গুলি, একটি মোটরসাইকেল ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পরে চাপাইনবাবগঞ্জে জঙ্গী আব্দুল্লাহ নিহত হন বলে এলাকায় প্রচার হয়।

ঝিনাইদহ সদর ও মহেশপুরের বজরাপুরের ঘটনায় এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরিরিজমের সদস্যরা এলে সন্ধ্যা নাগাদ অভিযান সমাপ্তি হতে পারে বলে মহেশপুরের ওসি আহম্মেদ কবির ধারণা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *