খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানি চলছে

বাংলার আদালত
image_152474.khaleda11জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) চেয়ে করা আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বেঞ্চে মঙ্গলবার সকালে শুনানি শুরু করেছেন খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন। সোমবার প্রথম দিনেও শুনানি করেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আছেন খুরশীদ আলম খান।
রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৩ এ খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা দুই দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে। আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় গত ১৯ মার্চ দুর্নীতির এ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ মোট ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এ অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া আবেদন করলে হাইকোর্টে তা খারিজ হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
গত ১৪ অক্টোবর চেম্বার বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিয়া বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ২৩ অক্টোবর এ তারিখ এগিয়ে (পরিবর্তন) আনার জন্য আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৬ অক্টোবর এ আবেদন মঞ্জুর করে শুনানি এগিয়ে ৬ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে ৯ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য থাকলেও তা পেছাতে সময়ের আবেদন জানান খালেদার আইনজীবীরা। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি পিছিয়ে গত রোববার (১৬ নভেম্বর) পুনর্নির্ধারণ করেন আদালত। সোমবার কার্যতালিকায় এলে শুনানি শুরু হয়।
বিচারিক আদালতে বেশ কয়েকবার পেছানোর পর আগামী ২৪ নভেম্বর এ মামলার প্রথম সাক্ষী ও বাদীর অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুদক ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *