কমেছে পাসের হার, ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ফল ভালো

Slider জাতীয় শিক্ষা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

112615pasherhaar

 

 

 

 

গত বছরের তুলনায় এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কম। এবার মোট পাসের হার ৮০.৩৫ শতাংশ। ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল ৮৮.২৩ শতাংশ। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের পাসের হার বেশি। এবার ছাত্রদের পাসের হার ৭৯.৯৩ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হারে ৮০. ৭৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের (দাখিল ও এসএসসি-ভোকেশনাল) পরীক্ষার ফল হস্তান্তর  করার সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব তথ্য জানান।

এসময় প্রধানমন্ত্রী কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা ফেল করবে বিশ্বাস করা যায় না। একটু মনযোগী হলে তারা ভালো ফল করবে। নতুন পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়নের প্রভাব পড়েছে ফলাফলে। ‘

দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হার ৮১.২১ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৬.২০ শতাংশ এবং আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৮. ৬৯ শতাংশ। ১০ বোর্ড মিলিয়ে মোটে পাসের হার ৮০. ৩৫ শতাংশ।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার পাস করেছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। ১০টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন। আর সারাদেশে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।

দেশের ১০টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হচ্ছে আজ। দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। দুপুর ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট, মোবাইলের এসএমএস ও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবে।

প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ।

এ বছর ১০টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসটি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ও ছাত্রী ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন। এছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জন এবং বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ জন।

গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন বেশি হওয়ায় বাড়ানো হয় ৯৩টি কেন্দ্র। এর মধ্যে দেশের বাইরে বিদেশের (জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপোলি, দোহা, আবুধাবি, দুবাই, বাহরাইন ও ওমানের সাহাম) ৪৪৬ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ছিল ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র।

এ বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা নামে দুটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়। বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে। এ ধরনের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *