খবর এখন চাওড় হয়ে গেছে। গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে ইভটিজিং এর শিকার ৮ বছরের শিশু আয়েশা বিচার না পাওয়ায় বাবা-মেয়ে এক সঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আয়েশার পরিবারের নিকট টাকা দাবি করেন নায় বিচার পাইয়ে দিতে। টাকা দিতে না পেরে আয়েশার বাবা শ্রীপুর থানায় যায়। সেখানেও একই পরিস্থিতির মুখোমোখি হওয়ার পর লজ্জায় ঘৃনায় ও ক্ষোভে বাবা-মেয়ে বিচার চাইতে পরপারে চলে গেছেন ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে।
সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, শ্রীপুর থানার ২/৩জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে কৃষকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা তল্লাসী করার নাম করে ৪৫ হাজার টাকা ও সোনার অলংকার নিয়ে গেছেন। অভিযোগ আছে, নিরীহি দোকান কর্মচারীকে ধরে টাকা না পেয়ে সো-কল আসামী হিসেবে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে। এই ধরণের অভিযোগও রয়েছে যে, পাওনা টাকার জন্য আদালতে মামলা করার কারণে বাদীকে কোন মামলা ছাড়াই একজন পুলিশ কর্মকর্তা আসামী পক্ষের হয়ে হুমকি দিয়ে এলাকাছাড়া করেছেন। আদালতে মামলার বাদীকে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে গ্রেফতার করার জন্য বাদীর ভাইকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন শ্রীপুর থানার দারোগা। তবে কোন অভিযোগই স্বীকার করছেন না দারোগা সাহেবরা। তারা ওই সব বিষয় ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন।
সাধারণ মানুষ বলছেন, বর্তমান সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার সাহস খোঁদ ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগেরও নেই। তাই সাধারণ মানুষ কেন কি কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে ওই ধরণের মিথ্যা অভিযোগ করছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার।
সর্বশেষ ঘটনার আলোকে জাতিকে লজ্জিত হতে হয় এই কারণে যে, ইভটিজিং এর শিকার ৮ বছরের শিশু থানায় গিয়ে কেন আইনী সহযোগীতা পেলো না, আর তা না পেয়ে কেন লজ্জা ও ঘৃনায় বাবা-মেয়েকে আত্মত্যা করতে হল, তার সুষ্ঠু তদন্ত অতীব জরুরী। এই সঙ্গে কোন কারণে যদি, একটি থানার অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা বিপথে চলে গিয়ে থাকেন, তবে ওই থানা পুলিশের গণবদলী এখন সময়ের দাবী হতে পারে।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম