পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

Slider জাতীয় সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী সারাদেশ

2017-04-27_10_823419

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে সরকার, মালিক ও শ্রমিকসহ সারাবিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি ‘নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘শোভন কর্মপরিবেশ, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে তিনি মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

আবদুল হামিদ মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে হালনাগাদ প্রযুক্তি এবং শ্রম সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার বিকল্প নেই উল্লেখ করে বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠনিক শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কর্মস্থলে উন্নত কর্মপরিবেশ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকের সুস্থতা ও শোভন কর্মপরিবেশের সাথে উৎপাদনশীলতা নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। সে পরিপ্রেক্ষিতে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য যথাযথ বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতার নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার শ্রমজীবী মানুুষের জীবন-মান উন্নয়নে বদ্ধপরিকর।
তিনি সরকার শ্রমজীবী মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে আরও বলেন, জাতীয়ভাবে এ দিবস পালনের মাধ্যমে সরকার, মালিক ও শ্রমিকের পারস্পরিক সহযোগিতায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি বিষয় সবার মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

রাষ্ট্রপতি জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসের অভীষ্ঠ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে শুধু দেশের শিল্প মালিক-শ্রকিকদের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে বিষয়টিকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০১৭’ এর সাফল্য কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *