জিয়ার কথা শুনছেন না খালেদা : জাফরুল্লাহ

Slider রাজনীতি

391ac2289b10b23794d4eb541a3de7ce-59009f1f0c4a3

ঢাকা;  গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁর দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কথা শুনছেন না।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান গবেষণা পরিষদ আয়োজিত ‘জিয়াউর রহমান বীর উত্তম’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ অভিযোগ করেন। তিনি যখন এ বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন তাঁর পাশেই ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান প্রথম দেশে নারী উন্নয়নে কমিশন করেছিলেন, মহিলা মন্ত্রণালয় করেছিলেন। তিনি দলে মহিলাদের বেশি করে স্থান দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু খালেদা জিয়া তাঁর স্থায়ী কমিটিতে একজন মাত্র মহিলা নেত্রী রেখেছেন। তার মানে তিনি জিয়াউর রহমানের কথা শুনছেন না।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে খালেদা জিয়া ছাড়া কোনো নারী সদস্য নেই। গত কমিটিতে খালেদা জিয়ার বাইরে সরোয়ারি রহমানও স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তবে ২০১৬ সালের সম্মেলনের পর গঠিত স্থায়ী কমিটিতে সরোয়ারি রহমানের জায়গা হয়নি। ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে অবশ্য এখন তিনটি পদ খালি আছে।
অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বই প্রকাশকারীদেরও সমালোচনা করেন জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, বইয়ে ‘জাতীয়তাবাদ’, ‘মুক্তিযুদ্ধ’ বানান ভুল হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক পৃষ্ঠায় এ ধরনের বানান ভুল আছে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যত্ন নিয়ে কাজটি করেননি।
অনুষ্ঠানে বিএনপি ভারতবিরোধী নয় দাবি করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমার পাওনা কোথায়? পাওনার কথা বললেই ভারতবিরোধী হয়ে গেলাম?’
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়ে সব দিয়ে এসেছেন। কিছু নিয়ে আসতে পারেননি। এ কারণে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে পারেনি। তিনি তিস্তার ন্যায্য হিস্যার দাবিতে প্রয়োজনে জাতিসংঘে যেতে সরকারকে পরামর্শ দেন।
হাওরের বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, হাওরের পানি উজান থেকে আসছে। ভারত বাঁধ দিয়ে রাখে। বেশি পানি হলে বাঁধ ছেড়ে দেয়। তখন বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল ডুবে যায়। পানির ন্যায্য হিস্যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বণ্টনের দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি অবশ্যই নির্বাচন চায়। সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিতে হবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ। তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, কিন্তু জাতির প্রয়োজনে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। জাতিকে হতাশা থেকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন। পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে আশা দেখিয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, জিয়াউর রহমান অল্প সময়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *