চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকা আজ শুক্রবার সকালে কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে।
হাঁটু থেকে কোমরপানিতে ডুবে গেছে সড়ক। প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি, এমনকি ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়েছে পানি।
পানির মধ্যে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর জানায়, সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহম্মদ বলেন, কালবৈশাখীর সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে সমুদ্রবন্দরের জন্য কোনো সংকেত নেই।
পানির মধ্যে উল্টে গেছে একটি রিকশা। ছবিটি বেলা ১১ টার দিকে নগরের ২ নম্বর গেইট এলাকা থেকে তোলা। ছবি: জুয়েল শীলমূলত ভোর ছয়টা থেকে এই বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে নগরের মুরাদপুর, ষোলশহর, প্রবর্তক মোড়, জিইসি, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, হেমসেন লেন, হালিশহর, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, শুলকবহর, কাপাসগোলা, সিডিএ আবাসিক এলাকা পতেঙ্গাসহ বিভিন্নস্থান হাঁটু থেকে কোমরপানিতে তলিয়ে যায়।
প্রবর্তক মোড়, জিইসি মোড়, মুরাদপুর ও ষোলশহর এলাকায় রাস্তায় পানি ওঠার কারণে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পানি মাড়িয়ে চলছেন নগরবাসী। শীলকামাল উদ্দিন নামে এক পথচারী সকাল ১০টায় জিইসি মোড় এলাকায় বলেন, বহদ্দারহাট যাওয়ার জন্য আগ্রাবাদের বাসা থেকে বের হয়েছেন তিনি। কিন্তু জিইসি পর্যন্ত এসে আটকে গেছেন। পানির জন্য গাড়ি চলছে না।
বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে যানবাহন ছিল কম। সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা কম থাকায় ভাড়া ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ।
নগরের হেমসেন লেন, চকবাজার, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে যায়। বেলা ১১টায়ও বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।কোমরসমান পানির মধ্যে রিকশাভ্যানে চলাচল করছেন যাত্রীরা।