মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪

ছেলেকে খুশি করলেন ইউসুফ পাঠান

Slider খেলা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

image

 

 

 

 

দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে তাঁদের গেমপ্ল্যান পুরোপুরি খেটৈ যাওয়ায় খুশি ইউসুফ পাঠান।

কী ছিল সেই গেমপ্ল্যান?

পাঠান জানাচ্ছেন, প্রতি ওভারে একটা চার বা ছয় মারা। ‘‘আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম প্রতি ওভারে একটা ছয় বা চার মারবই। বোলার যে-ই হোক না কেন। পাশাপাশি স্ট্রাইক রোটেট করে গিয়েছিলাম,’’ বলছেন ৩৯ বলে ৫৯ করা পাঠান। একই সঙ্গে জানাচ্ছেন, তিনি আর মণীশ পাণ্ডে ঠিক করে নিয়েছিলেন, বোলারদের সব সময় চাপে রাখবেন। ‘‘আমরা চেয়েছিলাম ওদের সব সময় চাপে রেখে যেতে। যাতে ওদের বোলার বা ক্যাপ্টেন কিছু ভুল করে। আমাদের নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল যে ম্যাচ বার করে আনব।’’

তবে পাঠানকে সবচেয়ে খুশি করেছে জন্মদিনে ছেলেকে দেওয়া কথা রাখতে পেরে। তৃতীয় জন্মদিনের আগে বাবা-র কাছে বিশেষ আব্দার ছিল জুনিয়র পাঠানের। ‘‘ছেলে আমার কাছে ব্যাট আর বলটা চেয়েছিল। ওর বয়স মাত্র তিন। আমি অবাকই হয়ে যাই ওর কথা শুনে। চেয়েছিলাম, কোটলায় ম্যাচ জিতে ওকে উপহারটা দিতে। সেটা হয়েছে বলে আরও ভাল লাগছে,’’ বলেছেন ম্যাচের অন্যতম নায়ক।

ম্যাচও কম নাটকীয় ছিল না। শেষ বলটা মিড অফ ও কভারের মাঝখানে ঠেলে দিয়ে মণীশ দ্বিতীয় রানটার জন্য দৌড় শুরু করতেই হাতটা মুঠো করে আকাশের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে চিৎকার করে উঠলেন কেকেআর অধিনায়ক। উচ্ছ্বাসটা যেন একটু বেশিই। ফিরোজ শাহ কোটলায় জয়। তাই তাঁর তৃপ্তিও অনেক বেশি গম্ভীরের কাছে। খেলা শুরুর আগেই সেটা বলে দিয়েছিলেন তিনি। ‘‘যে মাঠে ছোটবেলা থেকে খেলে আসছি, সেই ঘরের মাঠে নামাটা দারুণ অভিজ্ঞতা’’, বলেন তিনি। জয়ের পরই নাইটদের টুইটার হ্যান্ডলে ভেসে ওঠে ওয়ান লাইনার, ‘অব দিল্লি ভি হমারি’।

সত্যিই শুধু আর পাঁচটার মতো আর একটা জয় এটা নয়। সোমবারের কোটলা জয় কেকেআর-দের লিগ টেবলের শীর্ষে উঠিয়ে দিল। মুম্বইকে টপকে এক নম্বরে উঠে এল নাইটরা। যদিও দুই দলের পয়েন্ট একই, পাঁচ ম্যাচে আট করে। কিন্তু নেট রানরেটের দিক থেকে মুম্বই পিছনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *