প্রতারক সঙ্গীকে বিশ্বাস নয়!

Slider লাইফস্টাইল

b168ea9e25e24a3f11b328041a33522a-58f241f2022fa

ঢাকা;  সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি কখনো অন্য কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন, এটা জেনে কী মনে হবে তখন? রাগে, দুঃখ-কষ্টে হয়তো হৃদয় ভেঙে যাবে আপনার। সম্পর্কই রাখবেন না আর—এমন ভাবনাও হয়তো আসবে। তারপরও একে অন্যকে ভালো তো বাসেন। ভালোবাসার খাতিরে হয় তো দুজনে কিছুটা ছাড় দিয়ে আবারও গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন সম্পর্কটা। আর কখনো এমন প্রতারণা হবে না, এই বাক্যটিকে ভরসা করে এগোতেই চান সামনের দিকে।
প্রতারিত হয়ে বিশ্বাস তো একবার ভেঙেছে। তাহলে নতুন করে গুছিয়ে আনা সম্পর্কে কি সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রতি আগের মতোই বিশ্বাস রাখা উচিত হবে! গবেষণা বলছে, না। যে সঙ্গী বা সঙ্গিনী একবার আপনার সঙ্গে প্রতারণা করে ফেলেছেন, বিশ্বাস করলে তিনি ভবিষ্যতে একই প্রতারণা আবারও করতে পারেন।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) এক গবেষণায় এমন তথ্যই দেওয়া হয়েছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সঙ্গী বা সঙ্গিনী একবার প্রতারণা করার পর যদি ঝামেলা মিটমাট করে সব ভুলে আবারও সম্পর্ক গুছিয়ে আনেন, তবে ভবিষ্যতে তাঁর কাছ থেকে একই ধরনের প্রতারণার শিকার হতে পারেন। কারণ, প্রতিবার মিথ্যা বলার সময় মানুষের নিজেকে অপরাধী ভাবার প্রবণতা কমে যায়। মানুষের মস্তিষ্কের একটি অংশের নাম ‘অ্যামিগডালা’। যা মিথ্যা বলার সময় মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কিন্তু প্রতিবার মিথ্যা কথা বললে অ্যামিগডালার কারণে তৈরি হওয়া বিরূপ প্রতিক্রিয়া কমে যায়। এতে মানুষ নিজেকে কম অপরাধী ভাবতে থাকে।

প্রিন্সটন নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটের গবেষক ও এই গবেষণার সহকারী নেইল গ্যারেট বলেন, সঙ্গী বা সঙ্গিনী বাদে অন্য কারও সঙ্গে প্রথমবার শারীরিক সম্পর্ক করলে, নিজেকে অপরাধী ভাবার প্রবণতা অনেক বেশি থাকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একই ঘটনায় নিজেকে অপরাধী ভাবার প্রবণতা অনেক কমে যায়। এর অর্থ এই যে ধীরে ধীরে ওই ধরনের সম্পর্কের দিকে ঝোঁকার প্রবণতাও ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতারণা করা সব সঙ্গী বা সঙ্গিনী আবারও হুবহু একই প্রতারণা করবেন—এই গবেষণা তা হলফ করে বলছে না। তবে, ভালোবাসা–সংক্রান্ত বিষয়গুলো খুবই জটিল। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হলো—মনকে শক্ত রাখুন, সব সময় মস্তিষ্ক দিয়ে ভাবুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *