বুধবার, মে ০১, ২০২৪

জীবনের ভুল থেকে শিখেই সাফল্য, জাতীয় দলের স্বপ্নে সঞ্জু স্যামসন

Slider খেলা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

 

image

 

 

 

 

আইপিএল খবর :  স্বপ্নটা তো ছিলই। তখন থেকে যখন ক্রিকেটটাকেই জীবনের সব ভাবতে শুরু করেছিলেন। আগমনেই ভারতীয় ক্রিকেটকে এই বার্তাটা দিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত হতে চলেছেন তিনি। এর পর প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট থেকে আইপিএল, সবই ছিল জীবনে শুধু জাতীয় দলের জার্সিটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। তাও শুধু টি২০তে। এখনও টেস্ট, ওয়ান ডের স্বপ্ন নতুন করে দেখতে শুরু করেছেন। একটা সেঞ্চুরি যেন সেই জমে থাকা স্বপ্নকে আবার জাগিয়ে দিয়েছে।

দশম আইপিএল-এর প্রথম সে়ঞ্চুরি এসেছে তাঁর ব্যাটেই। সঞ্জুর ব্যাটেই পুণের বিরুদ্ধে সহজ জয় ছিনিয়ে নিয়েছে দিল্লি।  অ্যাডাম জাম্পার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আইপিএল-এ নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি করে ফেলেছেন কেরলের এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। সে়ঞ্চুরি করে বলেন, ‘‘আজ আমি খুব খুশি। এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা দিন। এখানে যতজন ভারতীয় ক্রিকেটার আছে, তাদের সকলেরই স্বপ্ন জাতীয় দলের হয়ে খেলা। যেটা বিশ্বের সেরা ক্রিকেট টিম। যদি সেখানে পৌঁছতে হয় তা হলে তোমাকে কিছু বিশেষ কাজ করতে হবে। আমি খুশি একটা ভাল ইনিংস খেলেছি। কিন্তু এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে।’’  ২০১৬ সালে দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসে যোগ দেন সঞ্জু। গত বছরটা তেমন ভাল যায়নি। এই বছর অবশ্য শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে তিনি। যার পিছনে রয়েছে রাহুল দ্রাবিরের ভূমিকা। তাঁর উপর ভরসা রেখেছিলেন রাহুল দ্রাবির। সঞ্জু বলেন, ‘‘আমার মতে রাহুল দ্রাবির, জুবিন ভারুচা, প্যাডি আপটনসহ দলের সকলেই খুব সমর্থন করেছে আমাকে। শেষ আইপিএলটা আমার ভাল যায়নি। কিন্তু ওরা পুরো মরসুমে আমাকে সাপোর্ট করে গিয়েছে। এই ইনিংস ওদের উৎসর্গ করছি।’’

সেঞ্চুরির পর সঞ্জু স্যামসনকে তাঁর সতীর্থর শুভেচ্ছা।

কেরালার হয়ে টি২০তে সঞ্জু স্যামসনের অভিষেক হয়েছিল মাত্র ১৬ বছর বয়সে। সঞ্জু বলছিলেন, ‘‘আমি যখন রাজস্থান রয়্যালসে যোগ দিই তখন আমার বয়স ১৭। তখন থেকেই দ্রাবিরের সঙ্গে। আমি ভাগ্যবাণ তাঁর অধিনে থাকতে পেরে। সবাই এই সুযোগ পায় না। আমি সত্যি ভাগ্যবাণ আমার ক্রিকেট শিক্ষায় দ্রাবিরকে পাশে পেয়ে।’’ সঞ্জু স্যামসনের এই সাফল্য এই জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রথমশ্রেনীর ক্রিকেটে ব্যর্থটার পর এই সাফল্য। এ বার কেরলের হয়ে ১১টি ইনিংসে সঞ্জুর রানের গড় ৩০.৩৬। এর সঙ্গে ছিল নিয়ম ভেঙে নির্বাসিত হওয়াও। কোনও রান না করে আউট হয়ে ফিরে সরাসরি বেরিয়ে যান দল ছেড়ে। রাত ন’টা পর্যন্ত ফেরেননি। এর পর তাঁকে সাবধানও করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘জীবনকে বুঝতে হলে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়াটা খুবই প্রয়োজন। আমার মনে হয় সব সময় সাফল্য এলে কিছু শেখা যায় না। তুমি যদি ক্রিকেটে বা জীবনে চলার পথে ভুল কর তবেই শিখতে পারবে, ভাল মানুষ হতে পারবে। আমার মনে হয়, আমার অতীত আমাকে ভাল মানুষ ও ভাল ক্রিকেটার হতে সাহায্য করেছে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *