প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে তিন শিক্ষকসহ চারজনের কারাদণ্ড

Slider শিক্ষা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

61294_rrr

 

 

 

 

প্রশ্ন ফাঁসের পৃথক ঘটনায় রাজধানী ঢাকা ও পটুয়াখালীতে তিন শিক্ষকসহ চারজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাজধানীর লালমাটিয়ায় এক শিক্ষিকা ও এক শিক্ষার্থী এবং পটুয়াখালীতে দুই শিক্ষককে হাতেনাতে আটকের পর এ সাজা দেয়া হয়।

রাজধানীর লালমাটিয়া কলেজ কেন্দ্রে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জেল হোসেন এক শিক্ষিকাসহ দুজনকে কারাদ- প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বুধবার সকাল ১০টা থেকে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল। এসময় পরীক্ষাকেন্দ্র সংলগ্ন কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁ থেকে সিফাত জেসমিন নূর ও মেহেদী হাসানকে আটক করে সাদা পোশাকের পুলিশ।

এসময় ফাঁস হওয়া প্রশ্ন মোবাইল ফোনের ফেসবুকে সমাধান করছিলেন তারা। মেহেদী হাসানের মোবাইল থেকে ‘আর জে রাহাত’ নামের এক আইডি পাওয়া যায়। সেখানে ফেসবুকে পোস্টের বিষয়টি বের হয়ে আসে। ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জেল হোসেন জানান, বিষয়টি প্রমাণ হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের দু’জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পরে তাদের মোহাম্মদপুর থানায় নেয়া হয়। সেখান থেকে তাদের কারাগারে পাঠানোর কথা বলেন তিনি।

অন্যদিকে পটুয়াখালী হাজী আক্কোল আলী কলেজ কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস করে নকল তৈরির সময় দুই শিক্ষককে আটক করা হয়। পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজনকে দুই বছর করে কারাদ- দেওয়া হয়।

এই দুই শিক্ষক হলেন ওই কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক খলিলুর রহমান ও হাজী মোক্তার আলী মৃধা কলেজের কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম খান। খলিলুর রহমান হল সুপারের দায়িত্বে ছিলেন। আজ বুধবার উচ্চ মাধ্যমিকের হিসাব বিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ পরীক্ষা ছিল।

কলেজ সূত্র জানায়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র বাইরে এনে কলেজের পাশে একটি বাড়িতে উত্তরপত্র তৈরি করছিলেন ওই দুই শিক্ষক। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুপ দাস ঘটনাস্থল থেকে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রসহ তাদের হাতেনাতে ধরেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারা- ও শফিকুল ইসলামকে আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *