মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের সঙ্গে তাঁর স্বজনেরা দেখা করেছেন।
আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে চার স্বজন মুফতি হান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মুফতি হান্নানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তাঁর স্বজনদের কাছে গতকাল মঙ্গলবার বার্তা পাঠিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
বার্তা পেয়ে আজ সকালে মুফতি হান্নানের চার স্বজন কারাগারে আসেন। স্বজনদের মধ্যে ছিলেন মুফতি হান্নানের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও বড় ভাই।
কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মুফতি হান্নানের চার স্বজন আজ সকাল সাতটার দিকে কারাগারে আসেন। তাঁরা সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত মুফতি হান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, মুফতি হান্নান ও তাঁর সহযোগী শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে গতকালই ফাঁসির মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। জল্লাদদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, আজ বুধবার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হতে পারে।
সিলেটে ২০০৪ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও তিনজন নিহত হওয়ার মামলায় মুফতি হান্নান এবং তাঁর সহযোগী বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে।
রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) তিনজনের করা আবেদন খারিজ হয়। গত ২৭ মার্চ তিনজনই প্রাণভিক্ষা চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, তাঁদের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপরজন দেলোয়ার রয়েছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে। গতকাল তাঁর সঙ্গে স্বজনেরা দেখা করেছেন।
তিনজনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর কারাবিধি অনুযায়ী তাঁদের ফাঁসি কার্যকর করতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ।