সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট নগরীতে বানরের তান্ডবে অতিষ্ট নগরবাসী। আন্দোলন, মানববন্ধন, প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে আবেদন, স্মারকলিপি সহ নানা কর্মসুচী দিয়ে রক্ষা পাচ্ছেন না নগরবাসী। তাঁরা না পারছেন বানর তাড়িয়ে দিতে না পারছেন বানরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে। এই উপদ্রব থেকে কীভাবে রক্ষা পাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ক্রমশ বাড়ছে উপদ্রব। শিশু-তরুণ-যুবক ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে এবার হামলার শিকার হচ্ছে শিশুরা।
শুক্রবার দুপুরে কলবাখানি ৩৭ নম্বর বাসার বাসিন্দা মো. শামীম আহমদের ছেলে সিয়াম আহমদ (৮) বানরের কামড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। বানরের কামড়ে তাঁর পা ক্ষত হয়ে সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এর একদিন পরই ০৮/০৪/০১৭ শনিবার এক বৃদ্ধাও বানরের আক্রমণের শিকার। একই বাসার সুরুজ মিয়ার বৃদ্ধা মাকেও পায়ে কামড় দিয়ে আহত করেছে।
এ ব্যাপারে শামীম আহমদ স্থানীয় কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। কাউন্সিলর বিষয়টি লিখিতভাবে সিলেটের জেলা প্রশাসককে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি রবিবার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানাবেন।
উল্লেখ্য, বানরের উৎপাত বন্ধে এর আগে মানব বন্ধন সহ বানরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী দ্বারস্ত হয়েছিলেন সিটি করপোরেশনেরও। তবুও এদের কবল থেকে রেহাই মেলেনি। গত দুই-তিন মাস ধরে নগরীর ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই, গোয়াইপাড়া, বাদামবাগিচা, হাউজিং এস্টেট, বড়বাজার, চৌকিদিঘী, মজুমদারী, কোনাপাড়া, পীর মহল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় বানরের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি। এসব এলাকায় বানরের আক্রমণে বেশ কয়েকজন শিশুও আহত হয়েছেন। তাছাড়া প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় বানরের হামলায় শিকার হচ্ছেন কেউ না কেউ। খাবারের জন্য শিশু থেকে বৃদ্ধ কোন বয়সের লোকই বাদ যাচ্ছেন না প্রাণীগুলোর উত্যক্তের হাত থেকে।
হঠাৎ করেই বাসা-বাড়িতে দলবদ্ধ হয়ে হানা দিয়ে হামলার পাশাপাশি ছোট শিশুদের আক্রমণ করে তাদের কাছ থেকে খাবার কেড়ে নিচ্ছে। গত দুই মাস ধরে বানরের সিরিয়ার আক্রমনের শিকার হয়েছেন অর্ধশতাধিক লোক। বানরের সিরিয়ার আক্রমন থেকে মুক্তি এবং প্রশাসনের কার্যকরি পদক্ষেপের আশায় প্রহর গুনছেন তারা।